কলকাতা: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর তাঁর গ্রেফতারির পর থেকেই তাঁর পরিবারের সদস্যরাও ইডির স্ক্যানারে। ইতিমধ্যেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা দেবপ্রিয় মল্লিককে তলব করেছে ইডি। আজ সোমবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে যান দেবপ্রিয়। এদিকে বালুর দাদার পিএসসি-যোগ নিয়ে এদিনই বোমা ফাটান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, পাবলিক সার্ভিস কমিশন লুঠ করা হয়েছে। সেই পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মেম্বার ছিলেন দেবপ্রিয় মল্লিক। ২০১২ সালে এই কমিশনের সদস্য হন তিনি। অথচ দেবপ্রিয় সরকারি কর্মী নন। এখানেই বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন, সরকারি কর্মী না হয়ে কীভাবে মন্ত্রীর দাদা কমিশনের সদস্য হলেন?
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পাবলিক সার্ভিস কমিশনটা লুঠ করেছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের দীর্ঘদিনের মেম্বার দেবপ্রিয় মল্লিক। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের দু’নম্বরির মাস্টার। এই যে বিডিওদের বেশির ভাগই চুরি করেছেন, ১৫-১৬, ১৬-১৭, ১৭-১৮তে। যার আমি আরটিআই করেছিলাম। উত্তর দেয়নি এখনও, সময় নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দেবপ্রিয় মল্লিক পিএসসি স্ক্যামের সঙ্গে যুক্ত।”
যদিও শুভেন্দুর তোলা একাধিক অভিযোগকে লঘু করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “শুভেন্দু যদি এতই প্রতিবাদী, তাহলে তৃণমূলে থাকতে প্রতিবাদ করেননি কেন?” তবে এই পিএসসি নিয়োগ নিয়েও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। মামলাকারীদের বক্তব্য, সরকারি কর্মী না হয়েও পিএসসির সদস্য অনেকেই। তাঁরা আবার ইন্টারভিউও নিয়েছেন। সোমবার ইডির দফতরে ঠিক কী প্রশ্নের মুখে দেবপ্রিয় মল্লিককে পড়তে হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। দেবপ্রিয় এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোনোর সময় বলেছেন, একটি চিঠি দিতে তিনি এসেছিলেন। কীসের চিঠি, তা অবশ্য খোলসা করেননি মন্ত্রীর দাদা।