কলকাতা: বঙ্গ বিজেপি-র সদর দফতর ৬ নম্বর মুরলীধর লেনে নেশা, পুরনো গাড়ি বিক্রি করে দেওয়া-সহ দলের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি গেল বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে। সংখ্যালঘু সেলের এক নেতা এই চিঠি পাঠিয়েছেন বলে খবর। সংখ্যালঘু সেলের এই নেতার অভিযোগ, রাত্রিবেলা দলের রাজ্য দফতরে বসে মদ্যপান করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দলের তরফে জেলা বিজেপি সভাপতিদের দেওয়া গাড়ি বিক্রি করে বহু টাকা আত্মসাৎ করছেন কোনও একজন বিজেপি নেতা। সেই সব তথ্য বিস্তারিতভাবে জে পি নাড্ডার কাছে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে। আর এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
এই সক্রান্ত বিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “দলের অফিস আমাদের কাছে মন্দিরের মতো। আমরা খোঁজ নেব। তবে এমন কোনও ঘটনা হয়েছে বলে মনে হয় না।”
সামনে লোকসভা ভোট। তার আগে বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়েছে। মোটের উপর খুব একটা ভাল ফল করেনি বঙ্গ বিজেপি। শুধু তাই নয়, সদ্য শেষ হওয়া ধূপগুড়ি উপনির্বাচনেও নিজেদের জেতা আসন চলে গিয়েছে তৃণমূলের কাছে। তবে হাল ছাড়তে নারাজ গেরুয়া শিবির। লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় নিজেদের অবস্থান আরও পোক্ত করতে কখনও দিল্লিতে, কখনও কলকাতায় দফায় দফায় চলছে বৈঠক।
এমনকী নতুন সাংগঠনিক জেলাও গঠন করেছে তারা। চার কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনশল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য এবং আশা লাকড়ার উপস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই সাংগঠনিক জেলার কথা ঘোষণা করেন। রদবদল হয় জেলা সভাপতিদেরও। শুধু কী তাই! ‘প্রবাস কর্মসূচি’ কতটা কার্যকরী হচ্ছে তাও নজরে রেখেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারণ অভিযোগ উঠছিল দলীয় অনেক নেতাই ‘প্রবাসে’ যাচ্ছেন না, আবার কেউ গেলেও কিছু সময় থেকে ফিরে যাচ্ছেন। এই বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবার নতুন পন্থা নেয় তারা। জমি শক্ত করতে একদিকে যখন একের পর এক পন্থা নিচ্ছে দল সেই সময় এই অভিযোগ শাসকদল তৃণমূলে যে কটাক্ষ করবে না তা বলাবাহুল্য। এখন দেখার অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় গেরুয়া শিবির।