কলকাতা: এক দুর্ঘটনাতেই গোটা বালেশ্বরই (Baleshwar) যেন হয়ে রয়েছে আস্ত মৃত্যু উপত্যকা। এখনও বাহানাগা স্টেশনের আশেপাশে চাপ চাপ রক্তের দাগ। কিছুক্ষণ আগে এখানেই পড়েছিল শয়ে শয়ে মৃতদেহ। এই জায়গাতেই এখনও পড়ে করমণ্ডলের কঙ্কাল। এক রেল দুর্ঘটনায় হাহাকার গোটা দেশে। শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৮৮, আহত ৭৪৭। ওড়িশা, বাংলার হাসপাতালে ভর্তি অগুনতি মানুষ। সে সমস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এবার বড় উদ্যোগ নিচ্ছে উত্তর কলকাতা ‘উদয়ের পথে’ ক্লাব। রাতারাতি আয়োজন করা হল রক্তদান শিবিরের (Blood Donation Camp)।
রবিবার সকাল থেকেই এই রক্তদান শিবিরে রক্ত দিতে হাজির সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। হেদুয়া থেকে রক্ত যাচ্ছে সোজা বালেশ্বরে। উদয়ের পথের স্বেচ্ছাসেবকরা বলছেন সকাল ১১ টার আগেই সংগ্রহ হয়েছে ২০০ ইউনিটেরও বেশি রক্তের প্যাকেট। দিনভর আরও রক্ত সংগ্রহের পরিমাণ আরও বেশ কিছুটা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্ক এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এই রক্ত পাঠাবে ওড়িশা সরকারকে।
ওড়িশা সরকারের তথ্য় ও জনসংযোগ বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ওড়িশার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ১১৭৫ জন আহতদের ভর্তি করা হয়েছিল প্রথমেই। তাঁদের মধ্যে অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭৯৩ জন। বর্তমানে ৩৮২ জন চিকিৎসাধীন রয়ছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে বালেশ্বর হাসপাতালে বেশিরভাগ রোগী অর্থোপেডিক, সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৫০ জনকে কটক এসইবি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে।