কলকাতা: জোড়াবাগান থানায় বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। উৎসবের শহরে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৭)। তিনি উত্তর কলকাতার জোরাবাগান থানা এলাকার সেন লেনের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিৎ বাড়ির পাঁচ তলার চিলে কোঠার ঘরে একাই থাকতেন। তাঁর একটি গাড়ি রয়েছে। সেই গাড়ি ভাড়ায় খাটাতেন। বৃহস্পতিবার সকালে গাড়ি ভাড়া ছিল। তিনি সে বাবদ ১০০০ টাকা অগ্রিমও নিয়েছিলেন। সকালে চালক পাপাই গাড়ির চাবি নিতে এসেছিলেন। তখন দেখে চিলেকোঠার ঘরের দরজা বন্ধ রয়েছে।
চালকের বয়ান অনুযায়ী, ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। অনেক ডাকাডাকিতে সাড়া না পেয়ে তিনি প্রতিবেশীদের জানান। প্রমোদ গুপ্তা নামে এক প্রতিবেশী সামনের দরজা ধাক্কা দিয়ে বন্ধ পেয়ে, পিছন দিক থেকে ঘুরে ছাদের দিকে দরজা ঠেলেন। দরজা ভেজানো ছিল। তিনি ঘরে ঢুকে উপুড় অবস্থায় অভিজিৎকে পড়ে থাকতে দেখেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, অভিজিতের দেহের ওপর অংশ রক্তাক্ত ছিল। এরপর জোড়াবাগান থানায় খবর দেওয়া হয়। লালবাজার থেকে হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা এবং ডগ স্কোয়াড যায় ঘটনাস্থলে । পৌঁছন ডিসি নর্থ দীপক সরকার।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিজিৎ তেমন কিছু করতেন না। পায়রা পুষতেন। সেই পায়রা বিক্রি করতেন। মদ্যপান করতেন। বুধবার রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ পাড়ার লোক তাঁকে রাতের খাবার কিনে ঘরে যেতেও দেখেন। অভিজিৎ বিবাহিত। খাতায় কলমে বিবাহ বিচ্ছেদ না হলেও, দীর্ঘদিন স্ত্রী সঙ্গে থাকেন না বলে পরিবারের বাকি সদস্যরা জানাচ্ছেন। এই বাড়িতে অভিজিতের দিদি ও তাঁর পরিবার থাকে। পুলিশের অনুমান, আততায়ীরা ছাদে দিকে দরজা দিয়ে পালিয়েছে।