Body Recovered: জোরাল হচ্ছে আয়ার যোগই! পঞ্চসায়রে বৃদ্ধা খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
Pancha Sayar Body Recovered: সেন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে ফর্ম ফিলাম করেই ওই সেন্টারে কাজ পান। সেখান থেকেই পুলিশ ওই আয়ার ছবি সংগ্রহ করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭.১২তে সিসি ক্যামেরা বন্ধ হয়ে যায়। ১৭ অগষ্ট প্রথম ওই আয়া আসেন, তারপর তিন দিন আর আসেননি।

কলকাতা: পঞ্চসায়রে বৃদ্ধা খুনের নেপথ্যে জোরাল হচ্ছে আয়ার যোগসাজশের বিষয়টিই। বিজয়া দাস(৭৯) পঞ্চসায়রে নিউ গড়িয়া কো-অপারেটিভ হাউজিং সোশ্যাইটিতে থাকতেন। শুক্রবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, বৃহস্পতিবার সকালে খুনের ঘটনা ঘটেছে। ওই আয়াকে খুঁজছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত ১৭ অগষ্ট থেকে ওই বাড়িতে কাজ শুরু করেন। সেন্টার থেকেই আয়া নেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। বৃহস্পতিবার ওই আয়াকে বাড়িতে ঢুকতে দেখা গিয়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে। তারপর থেকে বন্ধ সিসি ক্যামেরা।
সেন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে ফর্ম ফিলাম করেই ওই সেন্টারে কাজ পান। সেখান থেকেই পুলিশ ওই আয়ার ছবি সংগ্রহ করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭.১২তে সিসি ক্যামেরা বন্ধ হয়ে যায়। ১৭ অগষ্ট প্রথম ওই আয়া আসেন, তারপর তিন দিন আর আসেননি। বৃহস্পতিবার আবার আসেন। সকাল ৭ টা থেকে ৯ টার মধ্যে খুন বলেই পুলিশের অনুমান। বৃদ্ধার চারটে চুরি, দুটো কানের দুল ও তিনটি আংটিও খোওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পুলিশ জানতে পেরেছে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। শরীরে জোরালো আঘাতেরও ছাপ স্পষ্ট। বিজয়ার সন্তান অন্য জায়গায় থাকেন। এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ওই বাড়ির পরিচারিকা মধুমিতা হালদার কাজের জন্য আসেন। অনেকক্ষণ ধরে ডেকেও কোনও সাড়া পাননি। আচমকা তিনি দেখেন, সিঁড়ির কাছে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বিজয়া দাস। খবর পেয়ে পৌঁছয় পঞ্চসায়র থানার পুলিশ। ওই বৃদ্ধাকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, বিজয়ার স্বামী প্রশান্ত দাসকে ঘরের মধ্যে খাটের তলা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

