AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bratya Basu on Primary TET: প্রাথমিক টেট যেন ‘লখিন্দরের বাসরঘর’! ফল প্রকাশের পর কেন বললেন ব্রাত্য?

Bratya Basu on Primary TET: শুক্রবারই প্রাথমিক টেটর ফল প্রকাশ করেছে। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের মাঝে এই ফলের দিকে নজর ছিল সব মহলেরই।

Bratya Basu on Primary TET: প্রাথমিক টেট যেন 'লখিন্দরের বাসরঘর'! ফল প্রকাশের পর কেন বললেন ব্রাত্য?
ব্রাত্য বসু ও গৌতম পাল
| Edited By: | Updated on: Feb 10, 2023 | 7:20 PM
Share

কলকাতা : রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি যখন জেলে, তখন বিতর্কের অবকাশ যাতে না থাকে, সে ব্যাপারে শুরু থেকেই তৎপর ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারপরও বিতর্ক হয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের নাম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পর্ষদের তরফে সেই সব ক্ষেত্রে যুক্তিও দেওয়া হয়েছে। এবার প্রাথমিক টেটের (Primary TET) ফল প্রকাশের পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ব্যাখ্যা করলেন কীভাবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় পরীক্ষা হয়েছে। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল সহ সব আধিকারিকদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন ব্রাত্য। শুক্রবার গৌতম পালকে পাশে নিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।

প্রাথমিক টেট প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, ‘পর্ষদ যে ভাবে পরীক্ষা নিয়েছে ,তাতে কালনাগিনী ঢোকার মতো কোনও ছিদ্র ছিল না। একেবারে লখিন্দরের বাসরঘরের মতো সবরকম ঝুঁকি সামলেই পর্ষদ পরীক্ষা নিয়েছে।’

এদিন ব্রাত্য উল্লেখ করেন, পরীক্ষার আগে বায়োমেট্রিক সহ যে সব পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে, তা রাজ্যের স্বচ্ছতা প্রমাণের প্রচেষ্টা। প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রের ওপর নজরদারি চালানোর পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্রের কপি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তা রাজ্যের পরীক্ষা পদ্ধতিতে নজিরবিহীন বলে দাবি করেছেন ব্রাত্য। মহকুমা শাসক ও জেলাশাসকদের নিয়ে কমিটি গঠন, পর্ষদের ওয়েবসাইটে আনসার কি প্রকাশের কথাও বলেন মন্ত্রী। তাঁর দাবি, আনসার কি সংশোধনের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের, তাও নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, প্রথম থেকে সতর্ক ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর আগে ২০১৭ তে শেষবার টেট পরীক্ষা হয়েছিল। ২০১৪ ও ২০১৭ সালের পরীক্ষা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সেই মামলাতেই গ্রেফতার হন, যিনি বর্তমানে জেলবন্দি। শুধু তাই নয়, টাকা নিয়ে প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া, ওএমআর শিটের নম্বর বদলে দেওয়ার মতো বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এসেছে। তাই এবারের টেট পরীক্ষা পর্ষদের কাছে ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ।