AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Burrabazar Fire Update: ‘আগে ২২ বার আগুন লেগেছে ওই বাড়িতে…’, বড়বাজার অগ্নিকাণ্ডে দমকলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক কাউন্সিলর

Fire Incident: ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় এবং অধিকাংশ বিল্ডিংয়ের ছাদই টিনের হওয়ায় দমকলকর্মীদের কাজে বাধা পেতে হচ্ছে। অন্যদিকে দোকানগুলিতে মজুত রয়েছে বিপুল দাহ্য পদার্থ। সেই কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। একাধিক সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। 

Burrabazar Fire Update: 'আগে ২২ বার আগুন লেগেছে ওই বাড়িতে...', বড়বাজার অগ্নিকাণ্ডে দমকলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক কাউন্সিলর
বড়বাজারে এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন।Image Credit: TV9 বাংলা
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2025 | 10:04 AM
Share

কলকাতা: চার ঘণ্টা পার, এখনও নিভল না বড়বাজারের আগুন। ভোর ৫টায় আগুন লেগেছিল। তখন থেকে চলছিল আগুন নেভানোর চেষ্টা। বর্তমানে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। যে দোকানে প্রথম আগুন লাগে, সেখান থেকে আশেপাশের একাধিক বাড়ি ও দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। দমকলের কর্মীরা গ্যাস কাটার দিয়ে দেওয়াল কেটে বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা এই অগ্নিকাণ্ডে। দমকল এবং পুলিশ সূত্রে খবর, ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১০০ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

আজ, শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভোর ৫টা নাগাদ আগুন লাগে ১৭ নং এজরা স্ট্রিটে। একটি ইলেকট্রিক দোকানের দ্বিতীয় তলে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। মূলত এই অংশটি গোডাউন হিসাবেই ব্যবহার করা হত। বিপুল লাইট ও অন্যান্য ইলেকট্রিক সামগ্রী মজুত ছিল। সেখান থেকেই আগুন লাগে। কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। রাতে দোকানের এসি বন্ধ ছিল বলেই জানা গিয়েছে। অন্য কোথাও থেকে শর্ট সার্কিট হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে এখন দমকলের প্রধান লক্ষ্যই হল বিধ্বংসী আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনা।

ভোর থেকেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় এবং অধিকাংশ বিল্ডিংয়ের ছাদই টিনের হওয়ায় দমকলকর্মীদের কাজে বাধা পেতে হচ্ছে। অন্যদিকে দোকানগুলিতে মজুত রয়েছে বিপুল দাহ্য পদার্থ। সেই কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। একাধিক সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে।

বর্তমানে দোকানটির আশেপাশে যে বাড়ি ও গুদাম গুলিতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে, সেগুলির দেওয়াল কেটে ঢোকার ও আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গ্যাস কাটার দিয়ে দেওয়াল, গ্রিল কাটা হচ্ছে। বড়বাজারের এই এলাকার রাস্তা এতটাই সরু যে একটি দমকলের ইঞ্জিন ঢুকলে, আরেকটি ঢোকার জায়গা থাকবে না।

এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক বলেন, “ঘিঞ্জি এলাকায় বহু দোকান। বহুবার অভিযোগ জানিয়েছি, দমকল বা কমিশনার অব পুলিশ কারোর থেকে উত্তর পাইনি। কমপ্লেনের কাগজও আমার কাছে আছে। যে বাড়িতে আগুন লেগেছে, সেখানে তো আগে ২২ বার আগুন লেগেছে। কোনও সুরাহা হয়নি। আমার সামনে এক ঘণ্টার মধ্যেই ৩২ নম্বর বাড়িতেও আগুন ঢুকে গেল। যে বাড়িতে আগুন লাগার কথা নয়, সেই বাড়িতেও আগুন লেগেছে। আমার মনে হয় দমকল ঠিকভাবে কাজ করলে, আগুন এতটা ছড়িয়ে পড়ত না। উল্টোদিকের বাড়িতে তো আগুন লাগার কথাই নয়।”