কলকাতা: ভোট মিটেছে। আদর্শ আচরণবিধিও এখন আর নেই। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্যে এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখা আছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থা করা রয়েছে এখনও। এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় অনেক জায়গাতেই স্কুল খোলা যাচ্ছিল না। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় এবার হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বিকল্প জায়গায় সন্ধান করতে হবে। কারণ শিক্ষা সবার আগে।’
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মঙ্গলবার মামলাটি ওঠে শুনানির জন্য। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আইনজীবী কুমারজ্যোতি তিওয়ারি জানান, রাজ্যে বর্তমানে মোট ১২৫টি স্কুল ও ১০৭টি কলেজে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে আর্জি জানান, বাহিনীর জন্য যে ব্যারাক রয়েছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্থানান্তর করা হোক। তবে রাজ্যের বক্তব্য, এখনও এমন ৯৫টি স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, যেখান থেকে তাঁদের অন্যত্র স্থানান্তর করা মুশকিল। কারণ হিসেবে রাজ্যের যুক্তি, প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্কুল ছাড়া বিকল্প জায়গার সন্ধান পাওয়া মুশকিল।
এদিকে এদিনের শুনানিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, শিক্ষা সবার আগে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চের মন্তব্য, যেখানে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের কোনও অভিযোগ নেই, সেখান থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করা যেতেই পারে। এভাবে দফায় দফায় বাহিনী প্রত্যাহার করা যায় বলেই মত হাইকোর্টের।