কলকাতা: কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। যার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত। শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দিয়ে আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির জন্য সময় চায় রাজ্য সরকার। সেই সময়ই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ফের রাজ্যের কাছে জানতে চান, নীল ও লালবাতি নিয়ে এখন মোট কত গাড়ি চলছে পশ্চিমবঙ্গে? কালো কাচ লাগানো গাড়ির সম্পর্কেও তথ্য চান তিনি।
ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে এই নীল ও লালবাতি লাগানো গাড়ির প্রসঙ্গ। জানা গিয়েছে, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জন দেব নীলবাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরত। এর পরবর্তী সময়ে শহরে আরও কয়েকজন আধিকারিক ধরা পড়েন যাঁদের বিরুদ্ধে একই ভাবে নীলবাতি গাড়ি লাগিয়ে ঘোরার অভিযোগ ওঠে। সেই সূত্র ধরেই শুক্রবার রাজ্যে নীল ও লালবাতি গাড়ির যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে রাজ্যের কাছে জানতে চান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিন্দাল। এই লাল ও নীলবাতি লাগানো গাড়ির কারণেই যে অনেকাংশে জালিয়াতি সম্ভব হচ্ছে, বস্তুত সেটা অনুধাবন করেই এই তথ্য বিন্দাল জানতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘স্বচ্ছতার সঙ্গে ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করুন’, উচ্চ প্রাথমিক মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের
যদিও বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানে এই সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ রয়েছে। তারপর ফের একবার রাজ্যের কাছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানতে চান, রাজ্যে এই মুহূর্তে কতগুলি লাল ও নীলবাতির গাড়ি এবং কালো কাচ লাগানো গাড়ি চলছে? আজ এই মামলায় সিবিআই-কে যুক্ত করারও আবেদন জানানো হয়। সেই সময় বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজ সিবিআই-এর কেউ নেই আদালতে। আগামী ৫ জুলাই পরবর্তী শুনানি হবে মামলার। সেই দিন থাকতে হবে তাঁদের। রাজ্যের রিপোর্ট সব পক্ষকে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা: যাদবপুর-কাণ্ডে ডিসি-কে শোকজ হাইকোর্টের