ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা: যাদবপুর-কাণ্ডে ডিসি-কে শোকজ হাইকোর্টের

Calcutta High Court: রিপোর্ট তৈরি করা ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় দেওয়া হল মানবাধিকার কমিশনকে।

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা: যাদবপুর-কাণ্ডে ডিসি-কে শোকজ হাইকোর্টের
TET নিয়োগে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 02, 2021 | 1:29 PM

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে যাদবপুরের ডিসি রশির মুনির খানকে শোকজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি যাদবপুরে মানবাধিকার কর্মীদের আক্রমণের অভিযোগ ওঠে। এর আগে শুনানিতে সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিল মানবাধিকার কমিশন। আজ, সেই অভিযোগের জেরেই শোকজ করা হল ডিসিকে।

যাদবপুর-কাণ্ড:

গত মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদলের সফর ঘিরে রণক্ষেত্রের আকার নেয় যাদবপুর এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি লাঠিও চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যাদবপুর কেপিসি হাসপাতাল সংলগ্ন নীলসঙ্ঘ এলাকা। মানবাধিকার কমিশন আদালতে সওয়াল করেছিল, ‘কমিশনের কর্মীরাই যদি আক্রান্ত হন, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?’

সময় বাড়ল মানবাধিকার কমিশনের:

ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছিল মানবাধিকার কমিশনকে। আগেই সেই রিপোর্ট তৈরি করে হাইকোর্টে জমা দেয় কমিশন। এরপর কমিশনের তরফ থেকে আরও বেশি সময় চাওয়া হয়েছিল। শুক্রবারের শুনানিতে মানবাধিকার কমিশনকে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ জুন কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতায় আসে। তার পর সেখান থেকেই কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে যে সব জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে প্রতিনিধিরা সে সব জায়গা পরিদর্শন করেন। এরপরেই এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। গত বুধবার সেই রিপোর্ট মুখ বন্ধ খামে জমা পড়ে হাইকোর্টে।

নিতে হবে এফআইআর:

ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে। সেই সব অভিযোগ এক জায়গায় করে রিপোর্ট তৈরি করেছে মানবাধিকার কমিশন। আজ হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ওই সব অভিযোগের এফআইআর নিতে হবে পুলিশকে।

দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত:

মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। কলকাতায় সেনা হাসপাতালে মৃত্যু হয় বেলেঘাটার বাসিন্দা অভিজিতের। ভোট পরবর্তী হিংসায় তাঁর মৃত্য হয়ে্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের।