কলকাতা: ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল আগেই। অভিযুক্ত জামিনও পেয়ে গিয়েছেন ইতিমধ্যে। তারপর জানা যায়, যিনি ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তিনি অন্তঃস্বত্ত্বা। কিন্তু ততদিনে ২১ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। তাই গর্ভপাত করানোর ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হয়। অবশেষে সেই জটিলতা কাটল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। ২৩ সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর গর্ভপাতের নির্দেশ দেওয়া হল। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, ২০ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করতে হলে চিকিৎসকেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু তারপর গর্ভপাত করতে হলে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন হয়।
সোমবার গর্ভপাত করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গর্ভপাত করাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাঙুর হাসপাতালে গর্ভপাত করানো হবে ওই মহিলার। তৈরি করতে হবে তিন সদস্যের চিকিৎসক টিম। শারীরিক অবস্থায় যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে, তার জন্য গর্ভপাত করানোর আগে দেখতে হবে ওই মহিলার শারীরিক অবস্থাও।
গত বছর বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ এক কিশোরীকে গর্ভপাতের নির্দেশ দিয়েছিল। ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিল সে। ২৩ সপ্তাহ পর জানা গিয়েছিল সে গর্ভবতী। পরে জানা যায়, পাড়ায় খেলতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল ১১ বছরেরর ওই কিশোরী।