BIG NEWS: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সময়সীমা আর বাড়াল না হাইকোর্ট
Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার সময়সীমা নতুন করে বাড়াল না কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে সমস্ত পদক্ষেপ করবে রাজ্য। রাজ্য ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন-সহ সমস্ত উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে পারবে কেন্দ্র। বুধবার এ কথা জানিয়ে দিল হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
কলকাতা: দুই দফায় রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার সময়সীমা বাড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রথমে ২১ জুন পর্যন্ত, তারপর ২৬ জুন পর্যন্ত। তবে এবার আর নতুন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখা নিয়ে কোনও নির্দেশ দিল না আদালত। কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার সময়সীমা নতুন করে বাড়াল না কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে সমস্ত পদক্ষেপ করবে রাজ্য। রাজ্য ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন-সহ সমস্ত উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে পারবে কেন্দ্র। বুধবার এ কথা জানিয়ে দিল হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, বাংলায় সাত দফা ভোট পর্ব মোটের উপর শান্তিতে মিটলেও, ভোট পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু জায়গায় অশান্তি ও গোলমালের অভিযোগ উঠে এসেছিল। মূলত বিরোধী শিবির থেকেই অভিযোগ তোলা হচ্ছিল। বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছিল, তাদের বহু কর্মী-সমর্থক অশান্তির শিকার হয়েছেন, প্রচুর কর্মী ভয়ে ঘরছাড়া বলেও দাবি পদ্ম শিবিরের। এই আবহের মধ্যেই ভোট পরবর্তী সময়েও বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার আর্জি গিয়েছিল আদালতে।
ভোট মিটেছে। ৪ জুন গণনাও হয়ে গিয়েছে। তবে এরপরও ভোট পরবর্তী সম্ভব্য গোলমালের কথা মাথায় রেখে, পরিস্থিতি সামলাতে ১৯ জুন পর্যন্ত বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর হাইকোর্টে মামলা হলে, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ প্রথমে ২১ জুন পর্যন্ত বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। পরবর্তী শুনানিতে সেই সময়সীমা আরও বাড়িয়ে ২৬ জুন পর্যন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু এবার আদালত জানিয়ে দিল, সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে সমস্ত পদক্ষেপ করবে রাজ্য। রাজ্য ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন-সহ সমস্ত উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে পারবে কেন্দ্র।