Justice Rajasekhar Mantha: পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের এক্সপার্টদের শরণাপন্ন হতে পারবে CBI, বিচারপতি মান্থার বড় নির্দেশ

Calcutta High Court: আদালতের নির্দেশেই প্রাথমিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। গত ২ তারিখ এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি মান্থা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শোনান। ওএমআর শিটের অরিজিনাল সার্ভার বা হার্ড ডিস্কের তথ্য জানতে চান বিচারপতি। সিবিআইকে বলা হয়েছিল সকলের সামনে এই তথ্য আনতে হবে শুক্রবার। এদিন সেই তথ্য নিয়েই আবারও শুনানি হয়। 

Justice Rajasekhar Mantha: পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের এক্সপার্টদের শরণাপন্ন হতে পারবে CBI, বিচারপতি মান্থার বড় নির্দেশ
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 05, 2024 | 12:45 PM

কলকাতা: ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় এবার অলআউট ঝাঁপানোর নির্দেশ সিবিআইয়ের। প্রাথমিকের ২০১৪ সালের ওএমআর ও সার্ভার দুর্নীতির শেষ দেখতে এবার আরও সক্রিয় হচ্ছে সিবিআই। হাইকোর্টের বক্তব্য, এই ঘটনার নিরসনে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের এক্সপার্টদের শরণাপন্ন হতে পারবে সিবিআই। প্রয়োজনে নিতে পারবে বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যও। শুক্রবার মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আর তার যাবতীয় খরচ বহন করবে প্রাথমিক পর্ষদ।

আদালতের বক্তব্য, আইবিএম, উইপ্রো, টিসিএস বা যে কোনও বেসরকারি আইটি সংস্থার সাহায্য নিক সিবিআই। একইসঙ্গে সরকারি কোনও সংস্থার, এমনকী ‘এথিক্যাল হ্যাকার’-এরও সাহায্য নিতে পারবে তদন্তকারী সংস্থা। দেশের বাইরে হলেও তার সাহায্য় নিতে পারে সিবিআই।

এদিন সিবিআইয়ের তরফে জমা পরা ওএমআর সংক্রান্ত রিপোর্ট দেখে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ। তারপরই আদালতের এই নির্দেশ। বিচারপতির প্রশ্ন, প্রথম সার্ভারের কপি কতবার ট্রান্সফার হয়েছে? তথ্য কি এডিট হয়েছে? হলে কতবার? এর সন্তোষজনক নিশ্চিত জবাব পেতে চায় আদালত। সাত সপ্তাহ পরে সিবিআইকে এই নির্দেশ কার্যকরের ক্ষেত্রে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে।

আদালতের নির্দেশেই প্রাথমিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। গত ২ তারিখ এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি মান্থা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শোনান। ওএমআর শিটের অরিজিনাল সার্ভার বা হার্ড ডিস্কের তথ্য জানতে চান বিচারপতি। সিবিআইকে বলা হয়েছিল সকলের সামনে এই তথ্য আনতে হবে শুক্রবার। এদিন সেই তথ্য নিয়েই আবারও শুনানি হয়।

এ প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে যে ওএমআর শিটের অরিজিনাল ডিস্ক নষ্ট করে দিয়েছে। আদালত জানতে চায়, এভাবে ডিস্ক নষ্ট করা যায় কি না। নষ্ট করা গেলেও তথ্য উদ্ধার করা যায় কি না। আদালতের ধারণা উদ্ধার করা যায়। ডিজিটাল রেকর্ড এত সহজে ধ্বংস করা যায় না। সে ব্যাপারেই সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রয়োজন পড়লে যে কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারে।”