Calcutta High Court: স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল দশা! ‘রাজ্যের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা’ বোঝালেন প্রধান বিচারপতি
Calcutta High Court: রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে এ বিষয়ে নির্দেশিকা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। স্বাস্থ্য সচিবকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা : স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল অবস্থা নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। তাহেরপুরের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়েই মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। শুধু তাহেরপুর নয়, রাজ্যের অনেক প্রত্যন্ত এলাকাতেই প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভরসা করতে হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওপর। অথচ সেই সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত সমস্যার অভিযোগ সামনে আসে প্রায়ই। এবার আদালতের নির্দেশ, সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য জারি করতে হবে নির্দেশিকা। সেই মামলায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘জনগণকে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা রাজ্যের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে।’ তাঁর মন্তব্য, ‘কীভাবে, কী কী পরিষেবা জনগণকে প্রদান করতে হবে, রাজ্যকে তা মনে করিয়ে দেওয়ার দ্বায়িত্ব আদালতের নয়।’
সোমবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘এলাকার বাসিন্দাদের আপৎকালীন সমস্ত জরুরি পরিষেবা দেওয়ার মত পরিকাঠামো প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের থাকা উচিত। যদি পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকে, তাহলে সেটা সরকারের ব্যর্থতা এবং এটা ধরে নিতে হবে যে সরকার তার জনগণকে পর্যাপ্ত পরিষেবা দিতে পারছে না।’
রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে এ বিষয়ে নির্দেশিকা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। স্বাস্থ্য সচিবকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের কোনও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যদি কোনও পরিকাঠামোগত সমস্যা থাকে বা কর্মীর অভাব থাকে, তাহলে তা যেন স্বাস্থ্য সচিবকে জানানো হয়। এই মর্মেই নির্দেশিকা জারি করার কথা বলা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পাওয়া রিপোর্টের নির্যাস রাজ্যকে জানাবেন সচিব এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
তাহেরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতে সমস্ত রকম পরিকাঠামোগত চাহিদা মেটানো হয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজকর্ম ঠিকমতো চলছে কি না, পর্যাপ্ত কর্মী আছে কি না তাতেও নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তাহেরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র করুণ ও ভগ্নপ্রায় দশায় রয়েছে, এই মর্মে ২০১৬ সালে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন নবীন চাকি নামে এক স্থানীয় এক বাসিন্দা। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।