কলকাতা: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে চাপ তৈরির অভিযোগ তুলেছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। আলিপুর আদালতের বিচারকের কাছে এই নিয়ে চিঠিও লিখেছেন তিনি। সেই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ জানিয়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ক্যাভিয়েট দাখিল করল প্রাইমারি টেটে রমেশ মালিক বনাম রাজ্য মামলার মামলাকারী পক্ষ। যদি অপর পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে যায়, সেক্ষেত্রে মামলার শুনানি যাতে একতরফাভাবে না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এবার সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করল মামলাকারী রমেশ মালিক পক্ষ। অর্থাৎ, এই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে কোনও শুনানি হলে, মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবীও সেখানে উপস্থিত থাকবেন। যদি এই মামলায় অপর কোনও পক্ষ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়, সেক্ষেত্রে মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবীরা তাঁদের বক্তব্য শোনার জন্য আদালতের কাছে জানাতে পারবে।
উল্লেখ্য, কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে যে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল, সেখানে বেশ কিছু অংশ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বার বার সেই পর্যবেক্ষণের বিরোধিতা করেছেন ইতিমধ্যেই। এমন অবস্থায় যদি ওই মামলায় কোনও পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে যায়, সেক্ষেত্রে আগাম ব্যবস্থা হিসেবে মামলাকারী রমেশ মালিক পক্ষ শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখল।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষ গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। এদিকে কুন্তলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই, তাঁকে দল থেকে বহিস্কার করেছে তৃণমূল। এমন এক পরিস্থিতির মধ্যেই কুন্তল ঘোষ অভিযোগ তুলেছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর উপর চাপ তৈরি করছে, জোর করে রাজনৈতিক নেতাদের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। সেই নিয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন, ‘এত শারীরিক হেনস্থার পরও কীভাবে হেসে হেসে বয়ান দেন?’ এমন এক আবহেই এবার সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করল মামলাকারী পক্ষ।