কলকাতা: মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ একে একে নিয়োগ মামলায় জামিন পেয়েছেন অনেকেই। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকেই এই দুর্নীতির ‘কিং পিন’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে বারবার। তাঁর জামিন মামলা আপাতত ঝুলে রয়েছে হাইকোর্টে। এরই মধ্যে সিবিআই-এর নতুন নতুন গ্রেফতারির খবর সামনে আসছে। প্রশ্ন উঠছে, পার্থর জামিন আটকাতেই কি পরপর গ্রেফতারি!
সোমবার জামিন পেয়ে গিয়েছেন পার্থর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তারপরই পার্থর জামিনের সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এদিকে, মাস কয়েক আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নতুন মামলায় গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সোমবার অর্থাৎ অর্পিতার জামিন পাওয়ার দিনই গ্রেফতার করা হয়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে। আর এবার পালা সুজয়কৃষ্ণর!
সূত্রের খবর, পার্থর পর এবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয় ভদ্রকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই। সুজয়কৃষ্ণের প্রোডাকশন ওয়ারান্ট চেয়ে আবেদন করেছে সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। মঙ্গলবারই তাঁকে সশরীরে তোলা হবে বিচারভবনে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তেমন অভিযোগ সামনে এলেও পার্থর ভূমিকা কতটা তা প্রমাণ করতে মরিয়া সিবিআই। এই মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার জালে আসা প্রথম ‘বড় মাছ’ ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাই তাঁর জামিন আটকাতে সিবিআই যে সবরকম চেষ্টা করবে, সেটাই স্বাভাবিক। সেই কারণেই কি পার্থ ঘনিষ্ঠদের হেফাজতে নেওয়ার এই চেষ্টা? উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, তাঁকেও জালে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল সিবিআই। এবার সুজয়কে হেফাজতে নিতে পারে কি না, সেটাই দেখার।