কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় (Recruitment Scam) রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), প্রাক্তন শিক্ষাকর্তা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মিডলম্যান প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিং, শাহিদ ইমাম সহ ১১ জনকে বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। প্রসন্ন ও প্রদীপের আইনজীবীরা এদিন তাঁদের জামিনের জন্য আবেদন করেননি। শাহিদ ইমামের আইনজীবীও জামিনের আবেদন জানাননি। তবে যথোপযুক্ত মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট যাতে তাঁর মক্কেল পান, সেই আবেদন জানিয়েছেন শাহিদের আইনজীবী। যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এদিন আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেন। তাঁর বয়সের কারণ দেখিয়ে যাতে যে কোনও উপায়ে জামিন মঞ্জুর করা হয়, সেই আবেদন জানান এসপি সিনহার আইনজীবী।
শান্তিপ্রসাদের বক্তব্য, ‘তিনি ১৭৪ দিন ধরে হেফাজতে রয়েছেন। তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার কোনও উপায় নেই। সারদার মামলা তো এতদিন ধরে চলল। এই মামলাও চলছে, চলবে। তবে কি জামিন পাওয়া যাবে না?’ পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের এদিন আদালতে বক্তব্য, ‘ট্রায়ালের কোনও চান্স নেই। আমি অসুস্থ। আমি যে বাড়িতে থাকতাম, সেটা আমার নিজের বাড়ি। আমি রাজনৈতিক জীবনে আসার আগে কর্পোরেট সেক্টরে ছিলাম। ভালো পোস্টে ছিলাম।’
যদিও সিবিআই-এর আইনজীবী এদিন বলেন, ‘বিনা প্রমানে আমরা কাউকে গ্রেফতার করি না। এটা আমাদের কালচার না। প্রমাণ এলে তবেই এগোই। সিবিআইকে বলা হচ্ছে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। এটা ভুল বলা হচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত চলছে। কোর্টের কথা অনুযায়ী আমরা কেস ডায়রি সামনে আনি না। আমরা সূত্র জোগাড়ের কাজ করছি। আমাদের তদন্ত তো শেষ হয়নি। আমরা প্রভাবিত নই, আমাদের ক্ষমতা দেওয়া আছে। আমরা যাদের গ্রেফতার করেছি, তারা কেউ নিজের লোকেদের চাকরি দিয়েছে। কেউ প্যানেল বাতিল হওয়ার পর অন্যদের চাকরি দিয়েছে প্যানেল থাকা সত্ত্বেও। এটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র।’
সিবিআই-এর তরফে আরও জানানো হয়, ‘অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই প্রভাবশালী। আমরা আবার চার্জশিট দেব। আমাদের কাছে প্রমাণ এসেছে, এরা কাদের থেকে টাকা নিয়েছে, কাদের টাকা দিয়েছে। আব্দুল খালেকের ল্যাপটপ থেকে অনেক তথ্য সংগ্রহ করে হয়েছে।’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে এই বক্তব্য শুনে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘আজ বলছেন ল্যাপটপ থেকে তথ্য পেয়েছেন। সেটা এতদিন পর বলছেন কেন? আপনারা প্রমাণ নষ্ট করেননি, তার কি নিশ্চয়তা আছে?’