কলকাতা: তদন্তে জাল গোটাতে শুরু করেছে সিবিআই। তিলোত্তমা খুন-ধর্ষণ কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে তলব করেছে সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সিবিআইয়ের ডাক পেয়ে এদিন সকালে সিজিও-তে যান বিরূপাক্ষ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। প্রসঙ্গত, আরজি কাণ্ডের আবহে একটি ছবি সামনে আসে। সেই ছবি ভাইরালও হয়। যেখানে বেগুনি জামার এক ব্যক্তির রহস্যময় গতিবিধি নিয়ে চাপানউতোর বাড়তে থাকে। আন্দোলনকারীদের বড় অংশের দাবি, ক্রাইম সিনে বেগুনি জামার ওই ব্যক্তি আসলেই বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। বিভন্ন মহলে বাড়তে থাকে বিতর্ক।
কেন তিনি ওই দিন ওই জায়গায় ছিলেন তা নিয়ে উঠতে থাকে নানা প্রশ্ন। থ্রেট সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে এই বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে। এক ইন্টার্নকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অডিয়োও ভাইরাল হয়। যদিও সেই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা।
যদিও এদিন সিজিওতে ঢোকার সময় এই সমস্ত সামগ্রিক বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তা এড়িয়ে যান বিরূপাক্ষ। তবে তাঁকে কোনও ডকুমেন্ট আনতে বলা হয়নি বলে জানান। কিন্তু সন্দীপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ উঠতেই আর ক্যামেরার দিকে না তাকিয়ে সোজা সিজিও-তে ঢুকে যান তিনি। এদিকে ইতিমধ্যেই আদালতে সিবিআইয়ের তরফে বারবার দাবি করা হয়েছে এই ঘটনার পিছনে বড়সড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের পিছনে কি বিরুপাক্ষের বড় ভূমিকা রয়েছে? ঘটনার দিন সন্দীপের নির্দেশেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি? কী কথা হয়েছিল তাঁদের? তথ্য-প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছিল কী? উত্তর খুঁজছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। বিরুপাক্ষের কল ডিটেলসও কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের স্ক্যানারে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ডের মধ্যে বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে ‘স্টেপ’ নেয় স্বাস্থ্য ভবন। ইতিমধ্যেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অন্তর্গত কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে বদলি করা দেওয়া হয়েছে।