কলকাতা: ‘তিলোত্তমা’-কাণ্ডে আরজি করের মর্গে সিবিআই (CBI)। মর্গে ইএনটি’র কর্মশালায় নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে মৃতদেহ পাচারের অভিযোগ উঠছিল। আর সেই অভিযোগ তুলেছিলেন নন মেডিক্যাল ডেপুটি সুপার আখতার আলি। প্রাথমিক ভাবে সেই সূত্রেই সিবিআইয়ের আগমন বলে খবর। যদিও, এমএসভিপি সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, হাসপাতালের মর্গের পরিকাঠামো, দেহ সংরক্ষণের পদ্ধতি ও ময়না তদন্তের প্রক্রিয়া কীভাবে হয় তা তদারকি করতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা সেখানে এসেছেন।
এর আগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন কর্মী তারক চট্টোপাধ্যায় এই মর্গে কাজ করতেন। তাই মর্গের আনাচে-কানাচে কী হচ্ছে, সে খবর তাঁর কাছে পৌঁছে যেত বলে নিজেই দাবি করেছিলেন। তারকবাবু প্রশ্ন তুলেছিলেন অত্যাধুনিক পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও কেন তিলোত্তমার দেহ তড়িঘড়ি সৎকার করা হল? ফলত, যে মর্গ নিয়ে এত এত অভিযোগ। সেখানকার পরিস্থিতি-পরিকাঠামোর খোঁজেই কি পৌঁছলেন গোয়েরান্দা?
প্রসঙ্গত, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে জৈব বর্জ্য নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন ‘সন্দীপ ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত আরজি করের ফরন্সিকের শিক্ষক দেবাশিস সোমও। তিনিও দেহ পরীক্ষার কাজে যুক্ত থাকতেন। মৃতদেহ লোপাটেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগ করেছিলেন আখতার।