কলকাতা: বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে সুর বেঁধে দিয়েছেন, বাংলায় এসে আরও একবার তা শুনিয়ে গেলেন কেন্দ্রের মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলায় থেকে ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। এবার তাদের লক্ষ্য ৩৫। একইসঙ্গে বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়েও এদিন সুর চড়ান অনুরাগ। বলেন, এ রাজ্যে সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। মহিলাদের পর্যন্ত রেয়াত করা হয় না। এদিন অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “এখানকার সরকার সর্বতোভাবে বিফল। এখানকার আইনশৃঙ্খলাও একেবারে বসে গিয়েছে।”
শনিবার এই বাংলায় পা রেখেছেন কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া এবং তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। বাংলায় পা রাখা মাত্রই কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। বিমানবন্দরে নামার পরেই, সরাসরি কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও আশ্রমে এসে পৌঁছন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এরপর খানাকুলে পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে মঞ্চ থেকে কার্যত বাংলার সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসকে লাগাতার আক্রমণ করেন মোদীর মন্ত্রিসভার এই মন্ত্রী।
বাংলাকে তৃণমূল মুক্ত করার কথা এদিন শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের গলায়। তিনি বলেন, “উন্নয়ন করতে হবে, রোজগার দিতে হবে, রাস্তা, সেতু বানাতে হবে। আয়ুষ্মান ভারত করতে হবে। ৩৫টা লোকসভা পাব আমরা।”
যদিও অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য নিয়ে সরব তৃণমূলও। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “অনুরাগ বিরাগ কলকাতায় আসলে খুব বেশি লাভ হবে না। বাংলার মানুষ এই সংস্কৃতিকে বিশ্বাসও করে না, কোনওদিন আপনও করবে না।” আরেক মন্ত্রী শশী পাঁজার বক্তব্য, “বাংলায় এসে তাঁরা পঞ্চায়েতে সন্ত্রাসের কথা বলছেন। সন্ত্রাস তো আপনার পার্টিই করেছে।”