Tangra Chaos: যুবকের রহস্যমৃত্যুর অভিযোগে উত্তপ্ত ট্যাংরা, থানা ঘেরাও করে চলল বিক্ষোভ
Tangra Chaos: কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা জানাচ্ছেন, এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ছেলেটির মৃত্যু নিয়ে পাড়ার সকলেই খুব বিচলিত রয়েছেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন।
কলকাতা: যুবকের রহস্যমৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত ট্যাংরা (Tangra)। গত ৩ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিল ট্যাংরার বাসিন্দা ঝুনু রানা (৩৪)। নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পরে ট্যাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের করে ঝুনুর ভাই বিজয় রানা। তাঁর অভিযোগ, গুলাম রব্বানি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ভাই যে বেরিয়েছিল সে কথা পুলিশকে জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি সিসি ফুটেজও তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরও ট্যাংরা থানা তদন্তে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ পরিবারের লোকজনের। একসময় ট্যাংরা থানার উপরে আস্থা হারিয়ে লালবাজারের দ্বারস্থ হয় পরিবার। বৃহস্পতিবার গুলাম রব্বানিকে দিল্লি থেকে ধরে আনে লালবাজারের পুলিশ। সে কথা জানাজানি হওয়ার পর বিকেল চারটে থেকে ট্যাংরা থানা ঘেরাও করে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধ করা হয় গোবিন্দ খটিক রোড।
শেষ পর্যন্ত রাত ন’টা নাগাদ স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপন সাহার হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। ঝুনুর ভাই বিজয় রানা জানিয়েছেন, পুলিশের কাছ থেকে তিনি জেনেছেন চৌবাগা খালে মেরে ঝুনুর দেহ ফেলে দিয়েছিল অভিযুক্ত। এখনও পর্যন্ত দেহ উদ্ধার হয়নি। বিজয়ের বক্তব্য, ট্যাংরা থানা সক্রিয় হলে নিখোঁজ হওয়ার তেরো দিন পর দাদার মৃত্যুর খবর পেতে হত না।
কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা জানাচ্ছেন, এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ছেলেটির মৃত্যু নিয়ে পাড়ার সকলেই খুব বিচলিত রয়েছেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। যে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তার যাতে উপযুক্ত সাজা হয়, পুলিশের কাছে সেই দাবি জানিয়েছেন তিনি। মৃতের ভাই বিজয় রানা বলছেন, ভাই ৩ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিল। তারপর ৫ মার্চ তিনি থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরের দিন ৬ তারিখেই এফআইআর করেন গুলাম রব্বানির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিষয়ে বেশ কিছু তথ্যও পুলিশের কাছে তিনি তুলে দিয়েছিলেন বলে দাবি। কিন্তু ট্যাংরা থানা পুলিশ তদন্ত প্রক্রিয়া সেভাবে এগোয়নি বলে অভিযোগ তাঁর।