কলকাতা: উত্তর দিনাজপুরে কালিয়াগঞ্জের যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলিতেই। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল রাজ্য সিআইডি তদন্তে। এই মর্মে আগামী ১২ মে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেবে রাজ্যে। সেই রিপোর্টেই পুলিশের গুলি চালনার ঘটনা কথা উল্লেখ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। CID সূত্রে খবর, এই তদন্তে সিআইডি-র ইতিহাসে প্রথমবার থ্রি ডি স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়। ঘটনার দিন রাতে যে পুলিশ কর্মীরা বিষ্ণু বর্মণের বাড়িতে অভিযানে গিয়েছিলেন তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ান রেকর্ড করেছে বলে জানা গিয়েছে সিআইডি সূত্রে। সিআইডি সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক ২ রাউন্ড গুলি চালান। এক রাউন্ড শূন্যে ফায়ার করেন। এবং দ্বিতীয় গুলিটি সরাসরি মৃতুঞ্জয়কে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। সেই গুলি মৃত্যুঞ্জয়ের শরীরে ঢুকে ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। অকুস্থল থেকে একটি বুলেট হেড পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই বুলেটটি মৃত্যুঞ্জয়ের শরীরে ঢুকেছিলো কিনা নিশ্চিত করবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের দাবি, তাঁকে ঘিরে ধরেছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে ছিটকে পড়ে যায় তাঁর চশমা। সেই অবস্থায় তাঁর সার্ভিস পিস্তল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। তখন নিজের প্রাণ বাঁচাতে আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালান বলে সিআইডি-র কাছে দাবি করেছেন ওই অফিসার।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা সিআইডি-কে যে বয়ান দিয়েছেন তাতে পুলিশের উপর হামলার কথা অস্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাদের দেওয়া বয়ানে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের ভাঙা চশমা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি তদন্তকারীরা। CID র দাবি, ওই পরিবার অজ্ঞাত কোনও জায়গায় রয়েছেন। তাই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এই সব তথ্যই হাইকোর্টকে জানানো হবে বলে খবর সিআইডি সূত্রে।