Cow Smuggling Case: ‘যা করেছে, ভাগ্নেরা করেছে…’, CID-র প্রশ্নবাণে আর যা যা বললেন এনামুল
CID: সিআইডির দুই জন অফিসার এনামুলকে জেরা করে সেই বয়ান রেকর্ড করেছেন বলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। সিআইডি সূত্রে খবর, এনামুলকে জেরায় সন্তুষ্ট নন রাজ্যের গোয়েন্দারা।
কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের গোয়েন্দারাও। এবার গরুপাচারের তদন্তে আরও সক্রিয় সিআইডি (CID)। বৃহস্পতিবার তিহার জেলে গিয়ে গরুপাচার মামলার অন্যতম মূলচক্রী এনামুল হককে (Enamul Haque) প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জেরা করেছেন সিআইডির আধিকারিকরা। সিআইডির দুই জন অফিসার তাঁকে জেরা করে সেই বয়ান রেকর্ড করেছেন বলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। সিআইডি সূত্রে খবর, এনামূলকে জেরায় সন্তুষ্ট নন রাজ্যের গোয়েন্দারা।
আগামী দিনে ফের এনামুলকে জেলে গিয়ে জেরা করার জন্য আদালতে আবেদন করা হতে পারে। তবে সিআইডি সূত্রের খবর, গরু পাচারের অভিযোগে এনামুল সরাসরি যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। এনামুল নাকি দাবি করেছে, “যা করেছে ভারত মার্বেল থেকে ভাগ্নেরা করেছে। আমি শুধু দিল্লি ও কলকাতায় ব্যবসা সংক্রান্ত কাজ সামলাতাম।”
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকা দিয়ে গরুপাচার সংক্রান্ত যে যে অভিযোগগুলি উঠে এসেছে, মূলত সেই সংক্রান্ত অভিযোগেরই তদন্ত চালাচ্ছেন সিআইডির আধিকারিকরা। সম্প্রতি গরুপাচার মামলার তদন্তে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিআইডি। সেখানে এনামূল হকের ভাগ্নেদেরও নাম রয়েছে। এনামূল হকের তিন ভাগ্নে- মেদেহি হাসান, হুমায়ুন কবীর, জাহাঙ্গিরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে।
প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে অনেকদিন আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন এনামূল হক। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, এনামূল হক গ্রেফতার হওয়ার পরেও কোম্পানি চালু ছিল এবং সেই কোম্পানি চালাত এনামূলের তিন ভাগ্নে। গরুপাচারের কালো টাকা ওই কোম্পানির নামে বিদেশে পাঠানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সেই সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডির আধিকারিকরা তিহার জেলে গিয়েছিলেন এনামূলকে জেরা করার জন্য। কিন্তু সূত্রের খবর, গরু পাচারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এনামূল। উল্টে তিনি দাবি করেছেন, যা করেছে ভাগ্নেরাই করেছে। তবে এনামূলকে জেরা করে সিআইডির আধিকারিকরা সন্তুষ্ট নন বলেই জানা গিয়েছে।