কলকাতা: আরজি কর -কাণ্ডে প্রথম দিন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দোষীর ফাঁসির সাজা দাবি করেছিলেন। একই কথা বলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সোমবার ছিল আরজি-করের সাজা ঘোষণা। দোষী সঞ্জয় রাইকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তবে আদালতের রায়ে অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য়,”ফাঁসি হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।”
বস্তুত, আরজি করের তদন্ত প্রথমে করছিল কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রাইকে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই তদন্তের ভার যায় সিবিআই-এর হাতে। তা নিয়ে আগেও আক্ষেপ শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। বলেছিলেন, “আমি মা-বাবাকে বলেছিলাম সময় দিন। তারপর না হলে সিবিআই দিতেন। কিন্তু তার আগেই সিবিআই-এর হাতে চলে গেল তদন্তভার।” এরপর সময় যত গড়িয়েছে, তদন্ত নিয়ে সিবিআই-কে আক্রমণ করতেও শোনা গিয়েছে মমতাকে। কখনও বলেছেন, কলকাতা পুলিশ যাকে গ্রেফতার করেছে তারপর সিবিআই কাউকে নতুন করে ধরতে পারেনি।
এ দিন সাজা ঘোষণার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই ধরনের নরপিশাচদের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত। ফাঁসি হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম। আপনারা দেখেছেন আমরা ৫৪ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে ফাঁসির অর্ডার করিয়ে দিয়েছি। এই কেসে আমাদের ফাঁসির দাবি সকলের ছিল। সেক্ষেত্রে বিচারের রায় নিয়ে কিছু বলব না। আমাদের হাতে কেস থাকলে অনেকদিন আগেই ফাঁসির অর্ডার করিয়ে দিতে পারতাম। প্রথম দিন থেকেই ফাঁসি চেয়েছি।”