কলকাতা: লালার ২৫টি হিসেবের খাতা এবার সিবিআইয়ের হাতে। বুধবার আসানসোল, জামুড়িয়া-সহ সাত জায়গায় তল্লাসি চালিয়ে এই নোটবুকগুলি খুঁজে পায় সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, পালানোর আগে এই নোটবুকগুলি ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুকিয়ে রেখে যান কয়লা পাচারকাণ্ডের মূল চক্রী অনুপ মাজি ওরফে লালা।
সেই খবর পেয়েই সিবিআই হানা দেয় বুধবার। সিবিআই সূত্রের খবর, এই নোটবুকে লালা তাঁর খরচের হিসেব রাখতেন। অর্থাৎ, লালার কারবার ও কারবারীদের নাম আছে এই নোটবুকে। প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, পুলিস, ইসিএল কর্তা-সহ কাদের কত টাকা প্রতি মাসে দিতে হত সেই সংক্রান্ত হিসেবও লেখা থাকত এইসব নোটবুকেই। সেই হিসেবের পুরো তথ্য এখন সিবিআইয়ের হাতে।
আরও পড়ুন: ‘আমি কারও নাম নেব না’ শতাব্দীর বেসুরের নেপথ্যে কেষ্টর ‘কলকাঠি’?
২০১৫ সাল থেকে ‘ব্যবসা’র সব হিসেব এখানে লেখা রয়েছে। অর্থাৎ কয়লা-কাণ্ডের তদন্তে এই নোটবুকই হয়ে উঠতে পারে সিবিআইয়ের মূল হাতিয়ার। এই সূত্র ধরেই নতুন করে লালার ‘পে-রোলে’ থাকা প্রভাবশালীদের তালিকা তৈরি করবে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা। এরপর নতুন তালিকায় উঠে আসা প্রভাবশালীদের নোটিস পাঠানো শুরু হবে। আপাতত সেগুলি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে কয়লা-কাণ্ডে তৃতীয় নোটিস পাওয়ার পর ফের সিবিআইকে চিঠি দিয়ে সময় চেয়েছেন বিনয় মিশ্র। কয়লা পাচারকাণ্ডে যিনি লালা ও প্রভাবশালীদের মাঝের সেতু বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।