Srijato on Great Indian Kapil Show: রবীন্দ্রনাথকে অপমান কপিল শর্মাদের? ক্ষমা চাইতে সময় বেঁধে দিলেন শ্রীজাত
Srijato on Great Indian Kapil Show: দিনপাঁচেক আগে NETFLIX-এ ‘The Great Indian Kapil Show’-এর একটি নতুন পর্ব সংযোজিত হয়। সেখানেই কপিলের এক সহকারী শিল্পী তথা কৌতুকাভিনেতা কৃষ্ণ অভিষেকের কাণ্ডকারখানায় রেগে লাল শ্রীজাত। সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা।
কলকাতা: বছর চারেক আগে কিয়ারা আদবানীর ‘একলা চলো রে’ ট্যাটুর কথা মনে পড়ে? মনে পড়ে কীভাবে বক্ষবিভাজিকার মাঝে রবীন্দ্রনাথের গানের লাইন মিলিয়ে ট্যাটু করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী? জানা গিয়েছিল নেটফ্লিক্সের এক ওয়েব সিরিজে চরিত্র গঠন ও গল্পের স্বার্থেই ওই কাজ করেছিলেন কিয়ারা। যদিও তাতে বিতর্ক থামেনি। এবার ফের রবীন্দ্রনাথের সেই বিখ্যাত গান নিয়ে বিতর্কে নেটফ্লিক্স। বিতর্কে অভিনেতা তথা বিখ্যাত কৌতুকশিল্পী কপিল শর্মা। বিতর্কে ‘The Great Indian Kapil Show’। নেপথ্যে রবি ঠাকুরের সেই ‘একলা চলো রে’। রেগে লাল শ্রীজাত।
দিনপাঁচেক আগে NETFLIX-এ ‘The Great Indian Kapil Show’-এর একটি নতুন পর্ব সংযোজিত হয়। সেখানেই কপিলের এক সহকারী শিল্পী তথা কৌতুকাভিনেতা কৃষ্ণ অভিষেকের কাণ্ডকারখানায় রেগে লাল শ্রীজাত। সেখানে কাজলের সামনে যেভাবে ‘একলা চলো রে’ গানটি নিয়ে মসকরা করা হয়েছে তা একদমই ভাল লাগেনি শ্রীজাতর। ঠিক সেই কারণেই এক সপ্তাহের মধ্যে ‘The Great Indian Kapil Show’-এর পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়ে ফেলেছেন তিনি। আর তা না হলে তিনি প্রয়োজনে ‘একলাই’ আইনি রাস্তায় হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন।
ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার যাবতীয় বিবরণ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা লম্বা পোস্ট লিখেছেন শ্রীজাত। সেই পোস্টের শুরুতে কপিল শর্মার উত্থান নিয়ে, ইন্ড্রাস্ট্রিতে পাকাপাকি জায়গা করে নেওয়া, ভিড় ঠেলে অন্যতম সেরা কৌতূকাভিনেতা হয়ে ওঠার লড়াইকে কুর্নিশ জানান। কিন্তু, তারপরেই লেখেন, “এইবার রংটা একটু বেশি চড়ে গেছে, তাই লিখছি।” কেন, কোথায়, কীভাবে চড়ল রং, কেনই বা প্রয়োজনে আইনি পথে হাঁটবেন তিনি সেই ব্যখ্যাও দেন।
সাফ লেখেন, ‘দিনপাঁচেক আগে NETFLIX-এ ‘The Great Indian Kapil Show’-এর একটি নতুন পর্ব সংযোজিত হয়, যেখানে অতিথিদের মধ্যে অভিনেত্রী কাজল ও কৃতী স্যানন উপস্থিত থাকেন। সেই পর্বের মাঝামাঝি সময়ে কপিলের এক সহকারী শিল্পী বা কৌতুকাভিনেতা কৃষ্ণ অভিষেক উপস্থিত হন (যিনি নিজের নাম Krushna Abhishek লেখেন), এবং সম্ভবত কাজলকে বাঙালি বংশোদ্ভুত হিসেবে পেয়েই রবীন্দ্রনাথের একটি গানকে মস্করার সরঞ্জাম হিসেবে বেছে নেন। হঠাৎ তো বেছে নেননি, সেভাবেই চিত্রনাট্য সাজানো ছিল। ঠিক কী হয়েছে, কেমনভাবে হয়েছে, এখানে বিস্তারিত বলছি না। কিন্তু ‘একলা চলো রে’ গানটি নিয়ে কৃষ্ণ অভিষেক যে-ব্যাঙ্গাত্মক অঙ্গভঙ্গি ও কথাবার্তার উদ্রেক করেছেন, তা সম্মান ও শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে বহুদূর চলে গেছে, অন্তত আমার চোখে।’
পোস্টের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত বারবার উঠে এসেছে চিত্রনাট্যের কথা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এ কাজ যে একজনের মস্তিষ্কপ্রসূত কাজ নয়, একটা সমগ্র টিমের কাজ, তাই বারবার মনে করাতে চেয়েছেন শ্রীজাত। সে কারণেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলছেন। আইনি রাস্তায় হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়ে শ্রীজাত আরও লিখেছেন, ‘সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আইনজীবি’র সঙ্গে পরামর্শ করেই এই পোস্ট লিখছি, এটাও জানিয়ে গেলাম। আজ থেকে এক সপ্তাহ, অর্থাৎ ৭ নভেম্বর, ২০২৪-এর মধ্যে আমার দাবিগুলি গৃহীত, বিবেচিত এবং পূর্ণ না-হলে আমি আইনের পথে হাঁটব। বাংলা ভাষার একজন শব্দশ্রমিক হিসেবেই হাঁটব।’ শ্রীজাত তো লিখলেন, এখন দেখার শেষ পর্যন্ত জল কোনদিকে গড়ায়!