COVID Bengal School: সংক্রমিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হবে স্বাস্থ্য দফতরেও, স্কুলগুলিকে কড়া নির্দেশ রাজ্যের
COVID Bengal School: পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত স্কুলে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে রিপোর্ট কেবল স্কুলে জমা দিলেই হবে না, তা জমা দিতে হবে স্বাস্থ্য দফতরেও।
কলকাতা: সারা রাজ্যে পলকে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। বিপদের আভাস পেয়ে স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা বলছেন পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। স্কুলগুলির ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রত্যেক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিশেষ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। কারোর যদি সর্দি, কাশি, অল্প জ্বরও থাকে, তাঁরা যে স্কুলে না আসেন। অশিক্ষক কর্মীদের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি প্রযোজ্য। আগে পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত স্কুলে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে রিপোর্ট কেবল স্কুলে জমা দিলেই হবে না, তা জমা দিতে হবে স্বাস্থ্য দফতরেও। এমনটাই খবর পিটিআই সূত্রে।
গত ছ’ মাসের ব্যবধানে রাজ্যে নতুন করে ১০০০ নতুন কেস পাওয়া গিয়েছে। বুধবার ছিল এই পরিসংখ্যান। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যাটা হয়েছে ২০০০। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত নবম- দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে স্কুল চলছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। এখনও স্কুল বন্ধের কোনও সিদ্ধান্ত নয়। তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেও এটিও বলা হয়েছে, যাঁদের সংক্রমণ থাকবে, পরবর্তীকালে তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই তাঁরা স্কুলে জয়েন করতে পারবেন। এবং সেক্ষেত্রে নেগেটিভ রিপোর্ট তাঁদের স্বাস্থ্য দফতরেও জমা করতে হবে।
সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আর গা ছাড়া মনোভাব দেখানোর কোনও জায়গা নেই, এমনটাই বলছেন স্বাস্থ্য় দফতরের অধিকর্তারা। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা প্রতিদিনের তথ্য খতিয়ে দেখে অভ্যন্তরিণ বিশ্লেষণ করেছেন। জেলাগুলিকে ইতিমধ্যেই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তারা। দৈনিক করোনা বুলেটিনে যে তথ্য সামনে আসছে, তার থেকেই পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর বলে দাবি করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, ভয় দেখানো কিংবা আতঙ্কিত করার জন্য নয়। কিন্তু বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে, যা সচেতন হওয়ার জন্য যথেষ্ট।
প্রথম তথ্য.. তৃতীয় ঢেউ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে। এমনটাই আশঙ্কা করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের বিশ্লেষণ, প্রত্যেকদিন দ্বিগুণ হারে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমণের গতি উর্ধ্বমুখী।
দ্বিতীয় তথ্য… কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত স্পষ্ট। পাঁচ জনের মধ্যে চার জনের লোকাল স্যাম্পেলে ওমিক্রমণের সংক্রমণ স্পষ্ট। কলকাতায় টেস্ট ও পজিটিভিটি রেট সমান হারে বাড়ছে।
তৃতীয় তথ্য… প্রথম ঢেউয়ে অক্টোবরে পিক ছিল চার হাজার। দ্বিতীয় ঢেউয়ে ২০-২৫ হাজার দৈনিক সংক্রমণ দেখেছিলাম। তৃতীয় ঢেউয়ে দৈনিক সংক্রমণ ৩০-৩৫ হাজার পর্যন্ত হতে পারে।
রকারি স্বাস্থ্য আধিকারিকদেরও প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছে স্বাস্থ্য়ভবন। তৈরি হয়েছে ইন্টারন্যাল অ্যাসেসমেন্ট। তাতে বিভিন্ন গ্রুপে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ কর্তাদের তরফে এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে. প্রাইভেট ল্যাবগুলিতে নমুনা পরীক্ষার হার সরলরেখা বরাবর শীর্ষের দিকে এগোচ্ছে। সেদিক থেকে সরকারি ল্যাবগুলিতে নমুনা পরীক্ষা কার্যত হচ্ছে না বলেই অভিযোগ। সেক্ষেত্রে সরকারি ল্যাবগুলিকে নমুনা পরীক্ষা দ্বিগুণ-তিন গুণ করতে বলা হয়েছে। আরটিপিসিআর করার কথা বলেছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।