Bengal COVID Test: অ্যান্টিজেন টেস্টে পজিটিভিটি রেটে বিস্তর ফারাক! ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’কে মান্যতা দিতে গিয়েই কি ভারসাম্য নষ্ট?
Bengal COVID Test: রাজ্যের বুলেটিনে সংক্রমণের যে পজিটিভিটি রেট দেখানো হয়েছে, তার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
কলকাতা: ডায়মন্ডহারবার মডেলকে মান্যতা দিতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আরটিপিসিআর ও অ্যান্টিজেন টেস্টের আনুপাতিক হার। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে এখনও আরটিপিসিআরে পজিটিভিটি রেট ৩০ শতাংশের বেশি। সেখানে অ্যান্টিজেন টেস্টে পজিটিভিটি রেট মাত্র ৪ শতাংশ। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেন অ্যান্টিজেট টেস্টের এই বাড়বাড়ন্ত? সংক্রমণের গতিবিধি বুঝতে আরটিপিসিআর টেস্টের ওপরই জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে উলটপুরাণ ঘটছে এই রাজ্যে। সোমবারের বুলেটিন বলছে, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টেস্টের মধ্যে আরটিপিসিআর হয়েছে মাত্র ৩৮ শতাংশ। অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়েছে ৬২ শতাংশ। ১৮ জানুয়ারি থেকে চলছে এই ধারা। ফলে রাজ্যের বুলেটিনে সংক্রমণের যে পজিটিভিটি রেট দেখানো হয়েছে, তার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
কোথায় কত টেস্ট
১৮ জানুয়ারি
আরটিপিসিআর টেস্ট ২৩৭০৪
অ্যান্টিজেন টেস্ট ৩০১২০
আনুপাতিক হার ৪২. ৫৮
১৯ জানুয়ারি
আরটিপিসিআর ৩১৩০৬
অ্যান্টিজেন টেস্ট ৩৬০৯৮
আনুপাতিক হার ৪৪.৫৬
২০ জানুয়ারি
আরটিপিসিআর ২৯১৮৫
অ্যান্টিজেন টেস্ট ৩৮১৮২
আনুপাতিক হার ৪০.৬০
২১ জানুয়ারি
আরটিপিসিআর ২৭১৯৮
অ্যান্টিজেন টেস্ট ৪৫৫৪০
আনুপাতিক হার ৩৫.৬৫
২২ জানুয়ারি আরটিপিসিআর ২৭৭০৮
অ্যান্টিজেন টেস্ট ৫৪৮৫৬
আনুপাতিক হার ৩১.৬৯
২৩ জানুয়ারি
আরটিপিসিআর ২৬২৩৭
অ্যান্টিজেন টেস্ট ৪৬৯৭৭
আনুপাতিক হার ৩৪.৬৬
২৪ জানুয়ারি
আরটিপিসিআর ২১১১৫
অ্যান্টিজেন টেস্ট ৩০৩০৬
আনুপাতিক হার ৩৮.৬২
প্রশ্ন উঠছে, অ্যান্টিজেন টেস্টের বাড়বাড়ন্ত কীভাবে? স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ডায়মন্ড হারবার বুলেটিনের হাত ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধিই এর কারণ। ১৮ জানুয়ারি থেকে শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিপুল সংখ্যক অ্যান্টিজেন টেস্টের পরিসংখ্যানকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। সেটা দিতে গিয়ে আরটিপিসিআর আর অ্যান্টিজেন টেস্টের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়েছে। তেমনটাই মনে করছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কোভিড টেস্টের চিত্র
দক্ষিণ ২৪ পরগনা
১৮ জানুয়ারি টেস্ট: ৭১৮৪ পজিটিভিটি রেট: ৯.৪৫
১৯ জানুয়ারি টেস্ট: ১১১২৬ পজিটিভিটি রেট: ৭.৯৮
২০ জানুয়ারি টেস্ট: ১০৬০১ পজিটিভিটি রেট: ৭.০৭
২১ জানুয়ারি টেস্ট: ১৭৫৪৩ পজিটিভিটি রেট: ৩.৪৫
২২ জানুয়ারি টেস্ট: ২৭৮১৫ পজিটিভিটি রেট: ২.৬৩
২৩ জানুয়ারি টেস্ট: ২৫৫১৮ পজিটিভিটি রেট: ১.৯০
২৪ জানুয়ারি টেস্ট ১৯০৩৫ পজিটিভিটি রেট: ১.৪৬
এক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ আইসিএমআর স্পষ্ট বলে দিয়েছে, সংক্রমণের গতিবিধি যদি বুঝতে হয়, তাহলে আরটিপিসিআর টেস্টের ওপর জোর দিতে হবে। অ্যান্টিজেট টেস্টে রিপোর্ট পজিটিভ হলে, সেটি পজিটিভি। কিন্তু যদি নেগেটিভ হয়, তাহলে সেটি বুঝতে আবারও আরটিপিসিআর টেস্ট করাতে বলেছে কেন্দ্র। বাংলার ক্ষেত্রে চিত্রটা উল্টো। পরিসংখ্যান যা, তাতে প্রশ্ন উঠতেই পারে। আরটিপিসিআরে পজিটিভিটি রেট এখনও ৩০ শতাংশ। অ্যান্টিজেন টেস্টে ৪ শতাংশ। ফলে পরিসংখ্যান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হচ্ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিকাঠামো নেই, তেমনটা কিন্তু নয়। কারণ আরটিপিসিআর ল্যাব এখন প্রত্যেক জেলায় রয়েছে। কিটের অভাব নেই বলে জানিয়ে দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। তাহলে অ্যান্টিজেন টেস্টে একটি মাত্র জেলাকে মান্যতা দিতে গিয়ে সংক্রমণের এই তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh on Alipur Zoo clash: ‘ওটাই সংস্কৃতি, সিপিএমের পার্টি অফিসও গায়ের জোরে দখল করেছে’