COVID19 in Kolkata: খাবার পাচ্ছেন তো করোনা আক্রান্তরা? পুরসভার কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের
Kolkata: পুরসভার কাছে বুধবারই বিস্তারিত রিপোর্ট দাবি করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
কলকাতা: রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ (COVID19) । পিছিয়ে নেই কলকাতায়। করোনা মোকাবিলায় আগেভাগেই পথে নেমেছে কলকাতা পুরসভা। করোনা আক্রান্তদের কাছে ঠিকমতো খাবারের প্যাকেট পৌঁছচ্ছে কি না সে ব্যাপারে নিখুঁত তথ্য চাইল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
মূলত দারিদ্রসীমায় থাকা বা তার নিচে থাকা করোনা আক্রান্তদের খাবারের প্যাকেট সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা সঠিকভাবে কলকাতা পুর প্রশাসন করেছে কি না সে ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠাল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। বুধবার কলকাতা পুরসভার কমিশনারের কাছে লিখিত রিপোর্ট চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে।
আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া করোনা আক্রান্ত মানুষদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেইজন্য আগেভাগেই বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতোই নবান্ন থেকে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়। মাসখানেক আগের সেই নির্দেশ মেনেই কাজ হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই রিপোর্ট তলব করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
সূত্রের খবর, পুরসভার পক্ষ থেকে কোভিড আক্রান্ত দরিদ্র পরিবারগুলি দিনপিছু খাবার দেওয়ার কথা রয়েছে। তালিকায় যেমন রয়েছে মুড়ি-চিড়ের মতো শুকনো খাবার, তেমনই রয়েছে ফল, সবজির মতো খাবারও। এছাড়াও, দেওয়া হচ্ছে চাল-ডালও। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কমিশনের কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই কাজটি করতে হবে বলেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারীর শুরু থেকেই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি এই ভাবে রাজ্যের পিছিয়ে পড়া ও আর্থিকভাবে সমস্যায় থাকা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল বার বার। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছিল কমিউনিটি কিচেন ও ফুড ডোনেশন ক্যাম্প। রেড ভলেন্টিয়ার থেকে শুরু করে বহু তৃণমূল বিধায়কদেরও দেখা গিয়েছিল কমিউনিটি কিচেন তৈরি করতে। এগিয়ে এসেছিলেন একাধিক তারকারাও। এরপর ফের করোনার তৃতীয় ঢেউ কার্যত আছড়ে পড়ায় মানুষের খাদ্যের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যে, করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। করোনার দৈনিক সংক্রমণ একধাক্কায় বেড়ে ১৪ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গেল বুধবার। মঙ্গলবার এই সংখ্যাটা ছিল ৯ হাজারের কিছু বেশি। একদিনে প্রায় পাঁচ হাজার বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। আক্রান্তদের মধ্যে ৬ হাজারেরও বেশি কলকাতায়। এরপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। শেষ ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছেন ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন – সতর্ক থাকতে হবে, তবে ভয় পেলে চলবে না। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান থেকে দেখা গিয়েছে, যেমন সুনামির মতো করে সংক্রমণ বেড়েছে, ততটাই দ্রুত হারে সংক্রমণ কমবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিমধ্যেই সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হয়ে গিয়েছে। আমাদের দেশে তথা রাজ্যেও করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ততটা ভয়ঙ্কর এখনও হয়নি। হাসপাতালে ভর্তির হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। অক্সিজেনের চাহিদা দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যেমনভাবে দেখা গিয়েছিল, তেমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি।