CV Ananda Bose: বারাসতের পর প্রেসিডেন্সিতে আচার্য বোস, বৈঠকের সময়ে বাইরে কাল পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ SFI-এর

Soma Das | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 14, 2023 | 6:58 AM

CV Ananda Bose: বিশ্ববিদ্যালয় এক ছাত্র কালো পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, "শিক্ষায় গৌরিকীকরণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় এসেছেন রাজ্যপাল।"

CV Ananda Bose: বারাসতের পর প্রেসিডেন্সিতে আচার্য বোস, বৈঠকের সময়ে বাইরে কাল পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ SFI-এর
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল

Follow Us

কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরিদর্শন করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সোমে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বুধে বারাসত বিশ্ববিদ্যালয় ‘সারপ্রাইজ় ভিজিট’ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল যান প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার কাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে কথা হয়। এ দিন যখন রাজ্যপালের কনভয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকে, তখন জাতীয় শিক্ষানীতিতে বদল ও ছাত্রভোটের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এসএফআই। স্মারকলিপি জমা দিতে চেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এক ছাত্র বলেন, “কালা কানুন আমরা মানতে পারছি না। বর্তমানে রাজ্য সেটাকেই পিপিপি মডেল তৈরি করার চেষ্টা করেছে। যেটাকে আমরা কোনওভাবেই মানছি না।” এসএফআইয়ের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই রাজ্যপালের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা। এনইপি প্রচার করতেই রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন বলে অভিযোগ করে এসএফআই। উল্লেখ্য, রাজ্যপাল এদিন অধ্যাপকদের সঙ্গে কথা বলেন। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের কী মত, তাও জানতে চান রাজ্যপাল।

কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্য সরগরম। সেই আবহেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করছেন রাজ্যপাল। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন নিয়ে নিজের মতামত জানাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনাও সারেন আচার্য। রাজ্য সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে টালবাহানা করে ইউজিসিকে যখন দুষছে, তখন রাখঢাক না রেখেই রাজ্যপাল বলেছেন, এই বছরেই রাজ্যে জাতীয় শিক্ষা নীতির বাস্তবায়ন সম্ভব। অন্ততপক্ষে কলকাতা, বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তেমনই বলেছেন রাজ্যপাল।

প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৈঠকের পর দুপক্ষের তরফেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এবার থেকে রাজ্য ও রাজভবন শিক্ষাক্ষেত্রে সমন্বয় রেখে সিদ্ধান্ত নেবে। সম্প্রতি রাজভবনের তরফ থেকে চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গুলির গতিবিধি এবং আর্থিক লেনদেনেরও হিসেব চাওয়া হয়। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিকাশ ভবন। ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও।

রাজ্যপাল ‘অতিসক্রিয়’, এমন মনোভাব শাসক দলের নেতাদের অনেকেরই। তাঁর অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, এটা রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতেরই ইঙ্গিত। এরই মধ্যে রাজ্যপালের এভাবে পরেরপর পর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন, রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন তৈরি করেছে।

Next Article