CPIM: ফের কৌশল বদল! লালের হাল ফেরাতে দেবলীনার কাঁধেই গুরু দায়িত্ব দিল সিপিএম
CPIM: ২০১৯ সালে ঝাড়গ্রাম লোকসভায় তাঁকে প্রার্থী করেছিল সিপিআইএম। বাম জমানায় ইতি পড়লেও বিগত কয়েক বছরে দলের দলিত আদিবাসী মহিলা মুখ হিসাবে গোটা রাজ্যেই পরিচিতি বেড়েছে তাঁর। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহজে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা দিনে দিনে বাড়িয়েছে জনপ্রিয়তা।
কলকাতা: বাঁকুড়া জেলা সিপিএমের সম্পাদক হলেন দেবলীনা হেমব্রম। কোনও দলিত মহিলা সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক হয়েছেন, এমন নজির নেই। সোজা কথায় সিপিআইএমের ইতিহাসে প্রথম মহিলা জেলা সম্পাদক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, চেনা রাজনীতির ছক ভাঙতে চাইছে সিপিআইএম। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন দেবলীনা হেমব্রম। বসলেন একেবারে জেলা সিপিআইএমের সম্পাদকের পদে।
বাঁকুড়া জেলা সিপিআইএমের সম্মেলন থেকে নেওয়া হয়েছে এই নতুন সিদ্ধান্ত। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) ২৪ তম বাঁকুড়া জেলা সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে ৬০ জনের জেলা কমিটি নির্বাচিত হয়েছে। সেখানেই সম্পাদকের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে দেবলীনার কাঁধে। নব নির্বাচিত জেলা কমিটিই দেবলীনা হেমব্রমকে জেলা সম্পাদক নির্বাচিত করেন।
২০১৯ সালে ঝাড়গ্রাম লোকসভায় তাঁকে প্রার্থী করেছিল সিপিআইএম। বাম জমানায় ইতি পড়লেও বিগত কয়েক বছরে দলের দলিত আদিবাসী মহিলা মুখ হিসাবে গোটা রাজ্যেই পরিচিতি বেড়েছে তাঁর। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহজে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা দিনে দিনে বাড়িয়েছে জনপ্রিয়তা। ঝড় তুলেছেন ব্রিগেডেও। ২০১২ সালে ডিসেম্বর মাসে বিধানসভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে তৃণমূলের হাতে আক্রান্তও হন। চিটফান্ড দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক তুলে ধরার সময় তৎকালীন কিছু তৃণমূল বিধায়ক তাঁর উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। হেনস্থা করা হয়। যার জেরে অসুস্থও হয়ে পড়েন। হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়েছিল।
বর্তমানে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ২০২২ সালের এপ্রিলে হওয়া সিপিআইএমের পার্টি কংগ্রেস থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন তিনি। বাম জমানাতেও সামলেছেন একাধিক গুরু দায়িত্ব। ছিলেন তিনবারের বিধায়ক। ১৯৯৬ থেকে ২০০১, পরবর্তীতে ২০০৬ থেকে ২০১১। তারপর ২০১১ থেকে ২০১৬। প্রতিবারেই জিতে এসেছিলেন রানিবাঁধ থেকে। তাঁর বাড়িও ওই এলাকাতেই। ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আদিবাসী কল্যাণ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন দেবলীনা।