Birati: ‘আজ পাকা বাড়ি থাকলে হয়তো নাতনির প্রাণটা যেত না’, ঘর ভর্তি জলের মাঝে দাঁড়িয়ে আক্ষেপ ঠাকুমার
Birati: এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনগর এলাকার বর্ষাকালের চিত্রটা প্রত্যেকবার এমনই থাকে। বৃষ্টি বাড়লে জমা জলের উচ্চতা বাড়ে, বৃষ্টি কমলে জল নামে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন বর্ষায় এটা তাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।

বিরাটি: ঘরের মধ্যেই জল থইথই। ঘুমের মধ্যেই সেই জলের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল ৬ মাসের ছোট্ট মেয়েটা। আর তারপরেই ভয়ঙ্কর পরিণতি। আর বাঁচানো যায়নি। বিরাটি দেবীনগর এলাকার যে বাড়িতে শিশুটি জমা জলে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছে তার উল্টো দিকেই বেশ কয়েকটি বাড়ি রাজ্য সরকারি প্রকল্প ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে তৈরি হয়েছে। অথচ শিশুটির বাড়ি এখনও কাঁচা। বেড়া ও পিন দিয়ে ঘেরা। ভিতরটা নিচু। ফলে খুব সহজেই জল ঢুকে যায়। বিপজ্জনক অবস্থায় প্রাণ হাতে নিয়ে বসবাস গোটা পরিবারের। ভিতর জমা জলে ভাসছে মরা শামুক, খেলে বেড়াচ্ছে মাছ।
বাচ্চা মেয়েটির ঠাকুমার বক্তব্য, পাকা বাড়ি থাকলে হয়তো বেঘোরে নাতনির প্রাণ যেত না। তিনি বলছেন, “পাকা বাড়ি নেই তাই চলে গেছে। পাকা বাড়ি করার ক্ষমতা তো আমাদের নেই। এখন সরকার যদি দেয় দেবে। আমার নাতনি চলে গেল আর কী দাবি রাখব সরকারের কাছে। তারা তো সবই দেখতে পারছে সবই বুঝতে পারছে।” কিন্তু, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের জন্য তারা আবেদন না করলেও বর্ষায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয় তা দেখে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কি বাংলার বাড়ি প্রকল্পে তাদের নাম নথিভুক্ত করতে পারতেন না? উঠছে প্রশ্ন। মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময়। কিন্তু বিরাটির দেবীনগর এলাকায় এখনও হাঁটু সমান জল। গতকালের তুলনায় কয়েক ইঞ্চি জল নামলেও জল যন্ত্রণা কমেনি।
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনগর এলাকার বর্ষাকালের চিত্রটা প্রত্যেকবার এমনই থাকে। বৃষ্টি বাড়লে জমা জলের উচ্চতা বাড়ে, বৃষ্টি কমলে জল নামে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন বর্ষায় এটা তাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। পচা জলে ভেসে বেড়াচ্ছে ময়লা। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। জমা জলে সাপের উপদ্রব, বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিপদের আশঙ্কা, সব মাথায় নিয়েই জল ঠেঙিয়ে দিন গুজরান দেবীনগরের বাসিন্দাদের। যে বাচ্চাটির মৃত্যু হয়েছে তার পাশের বাড়িতেও একই অবস্থা।
