Dharmatala Bus Accident: বৈধ নথি ছাড়াই চলছিল ঘাতক মিনিবাস, হাওড়া থেকে গ্রেফতার চালক সরফরজ
Kolkata: ঘাতক মিনিবাসটি বৈধ কোনও নথি ছাড়াই চলছিল। ২০১৮ সালেই বাসটির বিমার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেও কী করে বাসটি চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে
কলকাতা: দুর্ঘটনাগ্রস্ত মিনিবাসের (Bus Accident) চালকের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল আগেই। এ বার ঘাতক বাসটির চালককে হাওড়া থেকে থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত সরফরজ খান বাঁকড়ার বাসিন্দা। সোমবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সূত্রের খবর, ঘাতক মিনিবাসটি বৈধ কোনও নথি ছাড়াই চলছিল। ২০১৮ সালেই বাসটির বিমার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেও কী করে বাসটি চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শুধু তাই নয়, বাসটির বেশ কিছু যন্ত্রাংশও অচল হয়ে যায়। ফলে, অতিরিক্ত গতিতে চলা ওই বাস আচমকা মোড় ঘুরতে গেলেই উল্টে পড়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ধৃত চালক সরফরজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাস্তায় দুটি বাসের রেষারেষির জেরেই কেবল এই ঘটনা কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা থেকে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে এই মিনিবাস চালকের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ফরেন্সিক টিম সন্ধ্যায় গিয়েই ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেছে। বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছে তারা।
কীভাবে এই মিনিবাস দুর্ঘটনা (Minibus Accident) ফরেন্সিক রিপোর্ট এলেই তা স্পষ্ট হবে। তবে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, হাওড়া আরটিও (RTO) এই মিনিবাসটিকে একাধিক কারণে ব্ল্যাক লিস্টেড ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তারপরেও কীভাবে রাস্তায় ওই বাস তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
রবিবার দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ ব্যস্ত ডোরিনা ক্রসিংয়ে হঠাৎ করেই উল্টে যায় বরযাত্রী বোঝাই মিনিবাস। আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন যাত্রী। যার মধ্যে তিনজনের আঘাত গুরুতর হয়। পার্ক সার্কাস থেকে একটি মিনিবাস ভাড়া করে একই পরিবারের সদস্য, আত্মীয়রা বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে বাসটি বাঁকরার নিয়ে যাওয়ার সময় ধর্মতলার ঠিক কিছুটা আগে ফুটপাথের পাশে থাকা রেলিংয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। তারপর মাঝ রাস্তায় উল্টে যায় মিনিবাসটি। আশেপাশের যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা ছিলেন, তাঁরাই প্রথম ছুটে আসেন। বাসের ভিতরে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। সকলকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
ভয়াবহ এই মিনিবাস দুর্ঘটনার তদন্তে নেমেছে লালবাজার ট্রাফিক পুলিশের ফেটাল স্কোয়াড। একইসঙ্গে বাস দুর্ঘটনায় ৩০৮ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে। একইসঙ্গে ২৭৯ ধারায় বেপরোয়াভাবে বাস চালানো ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ধারা অর্থাৎ পিডিপিপি অ্যাক্টেও নিউ মার্কেট থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। চালকের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Seikh Sufiyan on Suvendu Adhikari: ‘ওঁ দেশি ছেলে, দেশি নুন ব্যবহার করেন, আমরা টাটা নুন দেব’