Dilip Ghosh: ‘এই সৌজন্যই তো থাকা উচিত’, দিলীপ-শুভেন্দুর ‘মিষ্টিমুখ’ দেখে বললেন শোভনদেব
Dilip Ghosh: বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। এদিন দুপুরে তিনি বিধানসভায় যান, তাও আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আমন্ত্রণে। গেরুয়া উত্তরীয় দিয়ে দিলীপ ঘোষকে বরণ করেন শুভেন্দুই। কয়েকদিন আগেও যে দুই নেতাকে দুই মেরুতে বলে মনে হচ্ছিল, তাঁরাই এদিন হাসিমুখে এক ফ্রেমে। মিষ্টিমুখ, স্লোগান, হাসিঠাট্টা সবই হল। আর এই ছবি উস্কে দিল একটাই প্রশ্ন, জন্মদিনেই কি দিলীপ ঘোষের কামব্যাক?
কলকাতা: বৃহস্পতিবার সবাইকে চমকে দিয়ে বিধানসভায় হাজির হন দিলীপ ঘোষ। আরও বড় চমক দেয় দিলীপের জন্মদিনে শুভেন্দু অধিকারীর মিষ্টি মুখ করানোর দৃশ্য। এদিন বিধানসভায় ‘মধ্যমণি’ হিসাবে দেখা গিয়েছে দিলীপকে। যা নিয়ে বিজেপির অন্দরে স্বস্তির হাওয়া কি না তা তো সময়ই বলবে, তবে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই সৌজন্যটাই তো থাকা উচিত।
বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। এদিন দুপুরে তিনি বিধানসভায় যান, তাও আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আমন্ত্রণে। গেরুয়া উত্তরীয় দিয়ে দিলীপ ঘোষকে বরণ করেন শুভেন্দুই। কয়েকদিন আগেও যে দুই নেতাকে দুই মেরুতে বলে মনে হচ্ছিল, তাঁরাই এদিন হাসিমুখে এক ফ্রেমে। মিষ্টিমুখ, স্লোগান, হাসিঠাট্টা সবই হল। আর এই ছবি উস্কে দিল একটাই প্রশ্ন, জন্মদিনেই কি দিলীপ ঘোষের কামব্যাক?
দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, “জন্মদিন জেনে বিধানসভার নেতা শুভেন্দুদা আমাকে আমন্ত্রণ করেছিলেন মিষ্টি খাওয়ার জন্য। তাই এলাম। জন্মদিনে মিষ্টি খাওয়াও হল, সকলের সঙ্গে দেখাও হল। শুভেচ্ছা বিনিময় হল।” ভোটের ফল প্রকাশের পর ১৪ জুন বিধানসভায় গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেদিন একাই ছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার সেই দিলীপই ‘মধ্যমণি’।
বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দিলীপ ঘোষ ময়দানে ফিরছেন কি না সেটা ওনার দল বলবে। তবে আজ এই সৌজন্যটা ভাল। এটা থাকা উচিত।” যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ আবার এই দৃশ্য নিয়ে টিপ্পনি কাটতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, “দেখতে মনে হয়েছে মিষ্টি, কিন্তু দিলীপবাবুকে জিজ্ঞাসা করুন, ওনার অত মিষ্টি লাগেনি। ফলে এটা আরোপিত, কৃত্রিম দৃশ্য। আসল দৃশ্য বিজেপিতে চলতে থাকবে।” পাল্টা আবার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, সম্পর্ক একেবারেই স্বাভাবিক। তৃণমূল এসব বলে সম্পর্ক নষ্ট করতে চায়।