AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘অনেক দাগ লাগা আলু আছে, কোনও কাজে লাগে না’, দলত্যাগীদের ‘দাগী আলু’র সঙ্গে তুলনা দিলীপের

BJP: ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ভোট পর্ব মিটটেই ফের পুরনো দলে ফিরে যাওয়ার আর্তি শোনা যায় একাধিক দলত্যাগীর মুখে।

'অনেক দাগ লাগা আলু আছে, কোনও কাজে লাগে না', দলত্যাগীদের 'দাগী আলু'র সঙ্গে তুলনা দিলীপের
ছবি সংগৃহীত।
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2021 | 6:16 PM
Share

কলকাতা: দলত্যাগীদের দাগ লাগা আলুর সঙ্গে তুলনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার হেস্টিংসে বিজেপির যুব মোর্চার সম্মেলন ছিল। সেখানেই দলত্যাগীদের কড়া সমালোচনা শোনা যায় রাজ্য সভাপতির মুখে। সূত্রের খবর, সেখানে তিনি বলেন, ঝুড়িতে এমন বহু আলু থাকে যেগুলি ঠিক মতো সিদ্ধও হয় না, কোনও কাজেও লাগে না। ভোটের ফল প্রকাশের পর যাঁরা দল ছেড়ে গিয়েছেন তাঁরাও এই কাজে না লাগা ‘আলু’।

ভোটের ফল প্রকাশের পর বেশ খানিকটা সময় কেটে গিয়েছে। এবার ধীরে ধীরে ফের রাজ্যে সংগঠনকে চাঙ্গা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিজেপি। নতুন করে গা ঝাড়া দিয়ে দাঁড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। শুধু মূল সংগঠনই নয়, যুব সংগঠন নিয়েও নতুন করে ভাবনাচিন্তা চলছে। এদিন সেই যুবদের নিয়েই ছিল ‘কার্যকারিনী’। সেখানেই দিলীপ ঘোষ বলেন, “কিছু আলু থাকে যা সিদ্ধ হয় না, কিছু আলু থাকে যাতে কালো দাগ থাকে। সেগুলিকে কোনও কাজেই ব্যবহার করা যায় না। সেগুলি বাদ দিয়েই বাকি সবজি তৈরি করতে হয়।” দলে এসেও চলে যাওয়া নেতারা বিজেপির কাছে সেই কালো দাগ ধরা আলুরই সমান বলে এদিন মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ভোট পর্ব মিটটেই ফের পুরনো দলে ফিরে যাওয়ার আর্তি শোনা যায় একাধিক দলত্যাগীর মুখে। ইতিমধ্যেই মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরেও গিয়েছেন। যদিও তিনি ভোটের বহু আগেই বিজেপিতে গিয়েছিলেন। তবে ভোটের মুখে তৃণমূল ছাড়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বা সোনালী গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাসরা ফের তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে। তবে এ ভাবে কেউ দল ছাড়লে বিজেপির যে কিছু আসবে যাবে না, তা এদিন বার বার বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি আগেও বলেছেন, আখেড় গোছাতে অনেকেই ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে থাকতে গেলে কাজ করবে হবে, মন দিয়ে সংগঠন করতে হবে। এখানে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়ার কোনও সুযোগই নেই। যাঁরা এই সত্যিটা মানতে পারেননি তাঁরাই বিজেপি ছেড়েছেন বা ছাড়ার জন্য ব্যাকুল হয়েছেন। এদিনও সেই একই সুর শোনা গেল দিলীপ ঘোষের গলায়। আরও পড়ুন: ফরেন্সিক তদন্তে আরও গতি বাড়াচ্ছে কলকাতা পুলিশ, এবার নামানো হচ্ছে বিশেষ টিম