Dinhata: পিঠে বানানোর নামে পার্টি অফিসে ডাক? ব্যবস্থা নেবে মহিলা কমিশন

Sucharita De | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Feb 22, 2024 | 12:52 PM

Leena Gangopadhyay: আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ফের উত্তেজনা তৈরি হয়। এ প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন রাজ্য মহিলা সুরক্ষা কমিশনের চেয়ার পার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, তাঁরা খোঁজ খবর নিচ্ছেন। সত্যি এই ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Dinhata: পিঠে বানানোর নামে পার্টি অফিসে ডাক? ব্যবস্থা নেবে মহিলা কমিশন
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: সন্দেশখালির পর নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে কোচবিহার থেকেও। সেখানে আবার তৃণমূলের পার্টি অফিসে নাকি রাত্রিবেলা পিঠে বানানোর জন্য ডেকে নিয়ে যাওয়া হত মহিলাদের। অভিযোগকারিনী এক মহিলা জানান, “তৃণমূলের গুন্ডারা রাত ১২ টার সময়ে আমাকে পার্টি অফিসে ডাকে। বলে পিঠে বানাতে হবে। ওদের তো খারাপ মতলব ছিল।” আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ফের উত্তেজনা তৈরি হয়। এ প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন রাজ্য মহিলা সুরক্ষা কমিশনের চেয়ার পার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, তাঁরা খোঁজ খবর নিচ্ছেন। সত্যি এই ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লীনা বলেছেন, “এটি অত্যন্ত অপরাধজনক কাজ। কোনও মহিলার ছবি নিয়ে এই ভাবে পোস্ট করে দেওয়া যায় না। এই ঘটনা ঘটলে ঠিক নয়। এটা অন্যায়। নিন্দনীয় কাজ। আমি বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমরা এসপি-র সঙ্গে যোগাযোগ করছি। জানতে পারলে অবশ্যই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কাজ করব।”

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির ঘটনা এখন প্রায় সকলের জানা। সেখানকার মহিলাদের একাংশ পথে নেমেছেন। অভিযোগ করেছেন, রাত্রিবেলা তাঁদের ডেকে নিয়ে যাওয়া হত তৃণমূলের পার্টি অফিস। সেই রেশ যখন কাটেনি। তখন আবার সরব দিনহাটাও। দিনহাটার বুড়িরহাট অঞ্চলের নির্যাতিতা ওই মহিলার অভিযোগ,”আমাকে বিশু ধর, দিলীপ ভট্টাচার্যের গুন্ডাবাহিনী আমাকে রাত বারোটা সময়ে পার্টি অফিসে ডাকে। পিঠে বানানোর নাম করে ডাকে। আমি রাজি হইনি। আমি বলি রাত বারোটায় কেউ যাবে পিঠে বানাতে। মেয়েদের কী সম্মান নেই? আমার বাড়িতে এসে মাঝেমধ্যে অত্যাচার করত। আমি বলতাম, আমার কী সম্মান নেই? আমাকে কি বাঁচতে দেবেন না?”

এ প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন,”সন্দেশখালিকে সামনে রেখে এখন নতুন পিঠে-কাহিনী চালু করেছে বিজেপি। কোনও নেতাই রাত বারোটা তো দূরের কথা, রাত ১০ টার পর বাইরে থাকেন কি না, জানি না। পিঠে খাওয়ার বয়স আর নেই।” তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন, “মানুষ যদি মনে করেন, আমি এটা করতে পারি, তাহলে মানুষ আমার থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবেন।” অপরদিকে, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “কোচবিহারের অভ্যন্তরের বেশ কিছু এলাকায় আইন শৃঙ্খলার সমস্যা রয়েছে। যেখানে উদয়নবাবু নিজেই প্ররোচনামূলক অনেক মন্তব্য করেন। অভিযোগ খতিয়ে না দেখে, যারা অভিযোগ করছে, তাদের বিরুদ্ধে যাওয়া একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আর সেই কারণেই সন্দেশখালি তৈরি হয়েছে।”

Next Article