Doctor Harassment: ‘এলাকায় দেখলে মেরে চামড়া গুটিয়ে দেব ***’, বুকিং বাইক ক্যান্সেল করতেই লাগাতার ফোন, খাস কলকাতায় ফের মহিলা চিকিৎসককে যৌন হেনস্থা চালকের

Kolkata Doctor Harassment: শনিবার টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই মহিলা চিকিৎসক বলেন, "ড্রাইভার বলেছিলেন দেরীতে আসবেন। আমার একটু তাড়াতাড়ি ছিল। তাই আমি ক্যান্সেল করি। এরপর দ্বিতীয় একটি গাড়িতে উঠে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছিলাম। সেই সময় প্রথম ড্রাইভার বারবার আমায় ৭-৮ বার ফোন করেছিল।"

Doctor Harassment: 'এলাকায় দেখলে মেরে চামড়া গুটিয়ে দেব ***', বুকিং বাইক ক্যান্সেল করতেই লাগাতার ফোন, খাস কলকাতায় ফের মহিলা চিকিৎসককে যৌন হেনস্থা চালকের
ফের চিকিৎসককে হেনস্থাImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Nov 02, 2024 | 6:43 PM

সৌরভ দত্ত ও রঞ্জিত ধরের রিপোর্ট

কলকাতা: আবার এক মহিলা চিকিৎসককে যৌন হেনস্থা। এবারও সেই কলকাতা। এত নারী আন্দোলন, এত কথা, এত রাত দখল, কিন্তু হুঁশ ফিরছে আদৌ? পিজিডি ওই চিকিৎসককে মেরে চামড়া গুটিয়ে দেওয়ার হুমকি। এমনকী যৌন হেনস্থার অভিযোগ একজন অ্যাপ বাইক চালকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই পূর্ব যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই চিকিৎসক। তাঁর অভিযোগ বুকিং বাতিল হওয়ায় বারবার ফোন করে তাঁকে হোয়াটস অ্যাপে নোংরা ভিডিয়ো পাঠিয়ে হেনস্থা করেন ওই অ্যাপ বাইক চালক।

বাইক চালকের সঙ্গে মহিলা চিকিৎসকের কথোপকথন…

চিকিৎসক: আপনি বারবার ফোন করছেন কেন?

বাইক চালক: দাঁড়িয়ে আছি। তাই ফোন করছি। এমনি করছি?

চিকিৎসক: আপনি হোয়াটস অ্যাপে কী মেসেজ পাঠিয়েছেন?

বাইক চালক: পিক আপ পয়েন্টে এসেছি। *** গাড়ি তেল কি *** আসবে? ***!

বাইক চালক: *** চামড়া না তুলে নেব, এলাকায় যদি দেখতে পাই জানো তো ***

——–

শনিবার টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই মহিলা চিকিৎসক বলেন, “ড্রাইভার বলেছিলেন দেরীতে আসবেন। আমার একটু তাড়াতাড়ি ছিল। তাই আমি ক্যান্সেল করি। এরপর দ্বিতীয় একটি গাড়িতে উঠে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছিলাম। সেই সময় প্রথম ড্রাইভার বারবার আমায় ৭-৮ বার ফোন করেছিল। আমি ধরিনি। তারপর আমার হোয়াটস অ্যাপে নোংরা-অশ্লীল ভিডিয়ো পাঠান। সেইটা দেখে আমি চুপ করিনি। উনি যেই আমায় দ্বিতীয়বার ফোন করেন, সঙ্গে-সঙ্গে আমি জিজ্ঞাসা করি কেন বারবার ফোন করছেন? কী মেসেজ পাঠিয়েছেন? সঙ্গে-সঙ্গে গালিগালাজ করেন। শেষে বলেন মেরে চামড়া গুটিয়ে দেব। ভাবুন তো! আমি ভয় পাচ্ছি। এই শহরেই তো আমি বড় হয়েছি। এখন এই শহর চিনতে পারছি না। এটা আমার শহর নয়।”