কলকাতা: পুলিশের বাধার মুখে ডেকরটর্সের কর্মীরা। ধর্মতলায় অবস্থানরত জুনিয়র চিকিৎসকদের মঞ্চ ডেকরটর্স দিয়ে বাঁধতে দিল না পুলিশ তেমনটাই দাবি আন্দোলনকারীদের। বস্তুত, তিলোত্তমার ন্যায় বিচার ও চিকিৎসকদের সুরক্ষার দাবিতে শুক্রবার কর্মবিরতি তুলে নিলেও, ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভ তাঁরা চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে শনিবার প্রবল বৃষ্টিতে খুলে যায় ত্রিপল। এরপর ডেকরেটর্সের কর্মীদের দিয়ে মঞ্চ বাঁধতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ ওঠে।
শনিবার বিকেলে মুষলধারায় বৃষ্টির সামনে সেই মঞ্চ দুর্বল হয়ে পড়ে জুনিয়র ডাক্তাদের। এই পরিস্থিতিতে ছাউনির উপরে জমে জল। ফুটো হয়ে যায় ত্রিপল। একদিকে, ত্রিপল ফুটো হয়ে জল পড়ছে। অন্যদিকে, জমা জলে ভাসছে অবস্থান মঞ্চ। এরই মধ্যে সাউন্ড সিস্টেম ভিজে গেলে শট সার্কিটের উপক্রম হয় অবস্থান মঞ্চে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাঁশের উপরে ওঠে পিঠ দিয়ে ত্রিপলের জমা জল ফেলার চেষ্টা করলেন আন্দোলনকারীরা। ছাতা দিয়ে সেই কাজে সাহায্য করেন আগত এক প্রবীণ নাগরিক। মঞ্চ ধরে রাখার সে এক আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান অবস্থানরত আন্দোলনকারীরা।
এখানেই শেষ নয়, এরপর বাঁশ নিয়ে মঞ্চ বাঁধতেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের সঙ্গে তীব্র কথাকাটি হয়। অভিযোগ,বাঁশ বহনকারী টেম্পো যাতে যেতে না পারে সে জন্য পুলিশ সিগন্যাল আটকে রাখে। তবে হর্ন বাজিয়ে নিজেদের সমর্থন জানান সাধারণ মানুষ। এরপর ফুটপাথে একদিকে হাতে হাতে বাঁশ নেওয়া আটকালে, অন্য পথ ধরে মহিলা নাগরিকরা জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের খুঁটি অবস্থান মঞ্চে পৌঁছে দেন। সবার আগে কাজে হাত লাগালেন মহিলারা। তিলোত্তমার ন্যায়বিচারের জন্য গড়ে ওঠা অবস্থান মঞ্চের পুলিশি বাধা ভাঙতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন তাঁরা। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের মতো মেট্রো চ্যানেলেও নাগরিক সমর্থনের ‘অক্সিজেন’ জুনিয়র চিকিৎসকরা। এ দিকে সিভিল ড্রেসে থাকা কলকাতা পুলিশের এক কর্মীকে টিভি ৯ বাংলা প্রশ্ন করলে তিনি পরিষ্কার জানান এই বিষয়ে তাঁরা কিছু বলবেন না। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার রুমেলিকা কুমার বলেন, “এই ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আপামর সমাজের প্রশ্ন। আমাদের জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।”