কলকাতা: কর্মবিরতি তুলে নিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। ধর্মতলার মহা সমাবেশ থেকে ঘোষণা করলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। তবে এও জানিয়ে রাখলেন, শুক্রবার থেকে লাগাতার ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবস্থানে বিক্ষোভে সামিল থাকছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাতে রাজ্য সরকারকে তাঁরা একটাই বার্তা দিতে চান, তাঁরা কাজেও ফিরছেন, পাশাপাশি রাস্তায় থেকে বুঝিয়েও দিচ্ছেন, তাঁরা গণআন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
ধর্মতলার অবস্থান থেকেই দেবাশিস হালদার ঘোষণা করেন, “গণআন্দোলন বজায় রেখেই রোগীদের কথা মাথায় রেখে আমরা আজ থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছি। জিবি মিটিংয়ে এটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এটা যদি মনে হয় রাজ্য সরকার ভয় দেখাচ্ছে, ভাবছে জনগণ আমাদের পাশে নেই, ভয় পেয়ে কর্মবিরতি তুলে নিচ্ছি, তাহলে ভুল ভাববে রাজ্য সরকার। আসলে জনগণ আমাদের পাশে রয়েছেই। একটাই পক্ষ।”
তবে কর্মবিরতি তুললেও, আন্দোলন যে আরও তীব্রতর হতে চলেছে, তার আভাসও দিয়ে রাখেন তিনি। দেবাশিস বলেন, “পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে লাগাতর অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিচ্ছি। আমরা কাজে ফিরছি। আর এখানে বসে থেকে বুঝিয়েও দিচ্ছি, আমরা ন্যায় বিচারের দাবিতে রাস্তাতেও আছি।”
সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পর দশ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে সামিল হন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাতে প্রশ্ন ওঠে, নতুন করে দশ দাবি কী? এদিন তারই ব্যাখ্যা দেন দেবাশিস। তিনি বলেন, “আমাদের দশ দফা দাবি আসলে দুটো দাবি। প্রথম দাবি, ন্যায়বিচার। বাকি সব দাবি জড়িয়ে রয়েছে, আর একটাও যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার জন্য।” তাঁদের কথায়, ‘এই লড়াই থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে। নিরাপত্তার স্বার্থে।’
আন্দোলনকারী চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, “কর্মবিরতি যদি আমাদের দাবি পূরণের অন্তরায় হয়, তাহলে কর্মবিরতি তুলে নিলাম। কাল রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সময়। সেই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে অনশন। এই ঘটনার মোটিভকে সামনে আনতে হবে।” আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট বক্তব্য, অনশনও আন্দোলনের শেষ নয়। দাবি না মানা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না তাঁরা।