কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই-এর দেওয়া চার্জশিট ‘হতাশাজনক’। এই দাবিতে মহাষষ্ঠীর সকালে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান নার্স-চিকিৎসকদের। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বুধবার সকালে করুণাময়ী থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ সেই জমায়েত সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে এসে পৌঁছয়। কড়া নিরাপত্তার মোড়কে সিজিও কমপ্লেক্সে। একেবারে প্রথম স্তরে রয়েছে বিধাননগর পুলিশের বেষ্টনী। পিছনে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। যেহেতু সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে এমনিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা মোতায়েন থাকেন। এদিনের কর্মসূচিতে তা আরও বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই চার জনের প্রতিনিধি দলকে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ভিতরে গিয়েছেন।
চিকিৎসকদের বক্তব্য একেবারেই স্পষ্ট। যে চার্জশিট সিবিআই-এর তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে, সেখানে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রকেই মূল অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকেই চিকিৎসকদের একাংশর তরফ থেকে দাবি উঠছিল, যে ধরনের নৃশংসতা ঘটেছে, তা কারোর একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। সিবিআই তদন্ত, তাদের চার্জশিট তাঁদের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়নি। সেই দাবি নিয়েই সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, কেবল ধৃত সিভিক ভলান্টিয়র নয়, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, তদন্তভার হাতে পাওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় প্রথম চার্জশিট দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকেই ধর্ষক ও খুনি হিসাবে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই। সিবিআই চার্জশিট দেওয়ার পরই বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ব্যাপারে তৎপর বিশেষজ্ঞরা।
ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে দেওয়া সিবিআই চার্জশিট গ্রহণ করে বিচারের জন্য অন্য এজলাসে পাঠিয়েছেন বিচারক। শিয়ালদহ আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ- ১-এর এজলাসে পাঠানো হয়েছে মূল মামলা। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গেই এই চার্জশিট নিয়ে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করতে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান চিকিৎসক-নার্সদের।