Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CPIM: ‘সুনীতা উইলিয়ামসের মতো CPM পারবে তো?’ দেবাংশুদের খোঁচায় ‘কাস্তে চালালেন’ শতরূপরা

CPIM: খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না দেবাংশু। রসিকতার সুরেই তাঁর সাফ কথা, “নীলকে সবাই আপন করে নিচ্ছে। ৬ শতাংশ লোক আপন করা থেকে বাকি ছিল। সেটাও হয়ে গেল। আকাশে কাস্তে-হাতুড়ি ভাসছে। সুনীতা উলিয়ামস মহাশূন্য কাটানোর পর মাটিতে নামতে পেরেছেন তিনি।

CPIM: 'সুনীতা উইলিয়ামসের মতো CPM পারবে তো?' দেবাংশুদের খোঁচায় 'কাস্তে চালালেন' শতরূপরা
রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাপানউতোর Image Credit source: TV 9 Bangla GFX
Follow Us:
| Updated on: Mar 23, 2025 | 4:30 PM

কলকাতা: হাল ফেরাতে এবার কী নীলে ভরসা লালের? সোশ্যাল মিডিয়ায় সিপিএমের ডিসপ্লে পিকচার (DP), কভার ফটোতে বদল দেখা যেতেই তীব্র হচ্ছে জল্পনা। ডিপি-তে দেখা যাচ্ছে নীল আকাশের উপর রয়েছে হলুদ কাস্তে হাতুড়ি। কভার ফোটেতে ২০ এপ্রিলের ব্রিগেড কর্মসূচির উল্লেখ। এখন এই বদল নিয়েই রাজনৈতিক মহলে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। তৃণমূল থেকে বিজেপি, কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কেউই। যদিও সেসবে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ সিপিএম নেতারা। পাল্টা তৃণমূল-বিজেপিকেই একহাত নিয়েছেন কলতান-শতরূপেরা। 

এই যেমন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ আবার পাল্টা তৃণমূলকে একহাত নিয়ে বলছেন, “গোটা তৃণমূলে মমতার ছবি পোস্ট করা হবে নাকি অভিষেকের ছবি পোস্ট করা হবে তা নিয়ে আড়াআড়ি ভাগাভাগি চলছে। কিন্তু শনিবার রাত থেকে বেশ কিছু তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-সমর্থক তাঁদের ওয়ালে মমতা-অভিষেকের ছবি বাদ দিয়ে কাস্তে-হাতুড়ির ছবি পোস্ট করছেন। এটাই সঠিক পথ। এটাই সঠিক রাজনীতি। ভবিষ্যতে এইভাবে আমাদের পাশে থাকুন।” এখানেই না থেমে তাঁর আরও সংযোজন, “চোরেদের ছবির বদলে কাস্তে-হাতুড়ির ছবি দেওয়ার ফলে তৃণমূল কর্মীদের টাইমলাইন পবিত্র হল।”  

সুনীতা উইলিয়ামসকে টানলেন দেবাংশু 

যদিও খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না দেবাংশু। রসিকতার সুরেই তাঁর সাফ কথা, “নীলকে সবাই আপন করে নিচ্ছে। ৬ শতাংশ লোক আপন করা থেকে বাকি ছিল। সেটাও হয়ে গেল। আকাশে কাস্তে-হাতুড়ি ভাসছে। সুনীতা উলিয়ামস মহাশূন্য কাটানোর পর মাটিতে নামতে পেরেছেন তিনি। সিপিএম মহাশূন্য ভাসছে ৪ বছর হয়ে গেল। সুনীতা উইলিয়ামস ৯ মাসে পেরেছে। সিপিএম ৫ বছরে পারবে কিনা গ্যারান্টি নেই।”

খোঁচা দিতে ছাড়লেন না ঋতব্রতও  

একসময় বামেদের ঘরেই ছিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এখন যদিও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। সেই ঋতব্রতও সিপিএমের ডিপি বদল নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না। তবে কটাক্ষবাণ শানিয়েও রাখলেন কিছুটা রাখঢাক। খানিক বিস্ময়ের সুর এনে বললেন, “নীল রঙ আনলে কী রায়গঞ্জে জামানত জব্দ হবে না, চন্ডীতলায় জামানত জব্দ হবে না! যদি জামানত যদি বাঁচানো যায় তাই হয়তো…. তবে কারণ আমি বলতে পারব না। দায়-দায়িত্ব কোনওটাই আমার নয়। কেন বদলেছেন তা সিপিএমের নেতারাই বলতে পারবেন।”  

তীব্র আক্রমণ পদ্ম শিবিরের 

ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপিও। তুলোধনা করেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। খোঁচা দিয়ে বলেছেন, “ওরা তো মাঝেমাঝেই রঙ বদলায়। ওরা ইন্দিরা গান্ধীকে রাক্ষসী বলতো। এখন রঙ বদলে কংগ্রসের সঙ্গে গিয়েছে। লালুপ্রসাদের মতো চোরের সঙ্গে ওরা হাত মিলিয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় স্তরে তৃণমূলের সঙ্গে রঙ পাল্টে হাত মিলিয়েছে। ওদের পেজে যদি এখন সরাসরি একবার ঘোমটা খুলে ক্ষ্যামটা নাচটা নেচে দেয় তাহলে দুঃখ পাওয়ার কী আছে!” যদিও সিপিএমের কলতান দাশগুপ্ত যদিও বলছেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও রঙ ব্যবহার করার উপর তো কোনও সমস্যা নেই। রঙ কারও কেনা নয়। গেরুয়া রঙে যেমন বিজেপির পেটেন্ট নেওয়া নেই। তেমনই নীল রঙও কারও কেনা নয়। মাঝেমধ্যে আমাদের ডিপি পরিবর্তন হয়। এটা নতুন নয়।” যে ফেসবুক নিয়ে এত চর্চা সেই ফেসবুকেই আবার বাম ব্রিগেডকে এক হাত নিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সপ্তর্ষি চৌধুরী। তিনি লিখছেন, ‘লাল যে ক্রমশ নীলের দিকে যায় এই ছবিটি তার প্রমাণ। ফিশফ্রাই , কফি এ এক অমোঘ মোহ! আর জি কর নিয়ে যারা বিপ্লব বিপ্লব খেলার চেষ্টা করেছিলেন, আসলে তা যে (ওই বামপন্থী) বঙ্গবাসীকে এক কুহেলিকার মধ্যে রেখে চক্রব্যূহে আবর্তিত করছিলেন। সেটা প্রমাণিত লাল থেকে নীল হওয়াতে কমরেড। ফেসবুকে আন্দোলন করে বিপ্লব করার নতুন ডিজিটাল পন্থা উন্নততর বামফ্রন্ট নিয়ে এসেছে এটাই তার প্রমাণ।’