Dumdum: দমদম এলাকায় কি এবার থেকে নেটওয়ার্কের সমস্যা হবে? কারণ…
Kolkata: কারণ, জানা যাচ্ছে ফোর জি,ফাইভ জি নেটওয়ার্কে অকেজো বর্তমান জ্যামার। সেই কারণে অপরাধ আটকাতে 'টাওয়ার হারমোনিয়াস কল ব্লকিং সিস্টেম' চালু হচ্ছে রাজ্যের জেলে। তবে এটি চালু হলে সমস্য়ায় পড়তে পারেন জেল এলাকার বাসিন্দারা।
কলকাতা: জেলেও কি সক্রিয় জঙ্গিরা? এই প্রশ্ন আগে থেকেই উঠছিল। কারণ, খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তারিকুল ইসলাম ওরফে সুমন ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছিল আনসারুল্লা বাংলা টিমে সদস্য নূর ইসলামের সঙ্গে। সবটাই হচ্ছিল জেলে বসে। কিন্তু কীভাবে? এই প্রশ্ন আর তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই এবার আরও সক্রিয় জেল কর্তৃপক্ষ। রাজ্যের জেলে বসছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জ্যামার। কারণ, জানা যাচ্ছে ফোর জি,ফাইভ জি নেটওয়ার্কে অকেজো বর্তমান জ্যামার। সেই কারণে অপরাধ আটকাতে ‘টাওয়ার হারমোনিয়াস কল ব্লকিং সিস্টেম’ চালু হচ্ছে রাজ্যের জেলে। তবে এটি চালু হলে সমস্য়ায় পড়তে পারেন জেল এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে দমদম এলাকার বাসিন্দারা পড়তে পারেন সমস্যায়।
জানা গিয়েছে, জ্যামারগুলোর প্রযুক্তি 2G মোবাইল আটকানোর জন্য। ফলে পুরোনো জ্যামারে 2G ফোনের নেটওয়ার্ক ব্লক করা যায়। কিন্তু এখন ফোনে ব্যবহার হয় 4G, 5G-র নেটওয়ার্ক। ফলে জেলে থাকা জ্যামারগুলো কোনও কাজেই লাগছে না। এই আবহে জেলে জ্যামারের চরিত্র বদলাচ্ছে রাজ্যের কারা দফতর। অত্যাধুনিক জ্যামার বসানোর জন্য দরপত্র আহবান বা টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে।
জানা গিয়েছে, ‘টাওয়ার হারমোনিয়াস কল ব্লকিং সিস্টেম’ ( টি এইচসিবিএস) নামক জ্যামার শুরু হতে চলেছে রাজ্যের জেলে। ধীরে ধীরে রাজ্যের সেন্ট্রাল বা কেন্দ্রীয় জেলগুলিতে চালু হবে। আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে তা হতে চলেছে প্রেসিডেন্সি কিংবা দমদমে। তবে টাওয়ার হারমোনিয়াস কল ব্লকিং সিস্টেম চালু হলে সংশ্লিষ্ট জেল এবং তার আশেপাশের এলাকায় ‘নো সিগন্যাল’ হতে পারে।
এই সমস্যার সমাধান কীভাবে?
কারা দফতর সূত্রে খবর, জেল অফিসিয়াল বা আশেপাশের এলাকার কিছু নম্বর যাতে ছাড় পায়। তার বন্দোবস্ত আগে থেকে রাখা থাকবে। তবে সেটা নির্দিষ্ট কিছু নম্বরের জন্য। তবে ‘টাওয়ার হরমোনিয়াস কল ব্লকিং সিস্টেম’ চালু করতে গিয়ে ভিন রাজ্যে সমস্যায় পড়তে হয়েছে রাজস্থান বা কর্ণাটকের সরকারকে। কারণ, এই সিস্টেমে জেল ও তার আশেপাশের গোটা এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যায় পড়ে যায়। স্থানীয়রা আপত্তি করেন তাতে।
বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা অগ্রাহারা সেন্ট্রাল জেলে এই টিএইচসিবিএস চালু করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল জেল কর্তৃপক্ষকে। প্রায় ১৫ হাজার মানুষ সমস্যায় পড়েছিলেন। তারপরে এই সিস্টেমে কিছু বদল করে হয়। জ্যমারের ক্ষমতা কিছুটা কমানো হয়েছিল। একইভাবে এত মানুষ না হলেও বসতি এলাকার কাছাকাছি হওয়ায় জয়পুরের সেন্ট্রাল জেলে এই জ্যামার বসানোর পরে স্থানীয় মানুষদের ফোনের নেটওয়ার্ক পেতে সমস্যা হচ্ছিল। সেই সব জায়গা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগেভাগে কিছু নম্বরের ছাড়ের কথা ভাবছে রাজ্যের কারা দফতর।