কলকাতা: বেআইনি কলসেন্টারের পিছনেও কি প্রভাবশালী যোগ রয়েছে? সূত্রের খবর, কলকাতা, লন্ডন ঘুরে কলসেন্টারের অন্ধকার জগতের বাদশা কুণাল গুপ্তার গতিবিধির হদিশ মিলল দুবাইতেও। জানা যাচ্ছে, ইডি-র হাত থেকে বাঁচতেই দুবাই পালিয়েছিলেন কুণাল গুপ্তা। তাঁর কলসেন্টারের কালো টাকা কোন পথে পাচার হয়েছে, উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, কলকাতার ৩৫ টি রেসকোর্সের মালিক কুণাল গুপ্তা। তদন্তকারীদের নজরে এবার রেসকোর্সও।
ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, অনুপ মাঝি ওরফে লালা বা এনামুল হকের মতোই একটা চরিত্র কুণাল গুপ্তা। অর্থাৎ এই কুণাল গুপ্তাকে সামনে রেখেই কোনও প্রভাবশালী বেআইনি ব্যবসা চালাচ্ছে। কুণাল গুপ্তা বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর বেআইনি কলসেন্টারের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কুণাল গুপ্তার সংস্থার একাধিক ব্যক্তি আপ্ত সহায়ক ও চিফ ফিন্যান্স অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করেছেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকারীরা এটাই অনুমান করছেন।
কুণাল গুপ্তা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি, আধিকারিকদের মনে আরও একটি প্রশ্ন জোরাল হয়ে উঠেছে, সিআইডি হেফাজত থেকে কীভাবে কুণাল গুপ্তা আপ্ত সহায়ক পম্পি ভোরাকে ফোন করেছিলেন। উল্লেখ্য, কুণালকে ইডি নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। ওই ফোনে কুণাল তাঁর বেআইনি ব্যবসা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য দেন, কিছু প্রমাণ লোপাটেরও তথ্য দেন। সেই ফোন কলের রেকর্ড এখন ইডি-র হাতে। তাহলে প্রশ্ন কুণাল গুপ্তার পিছনে কি কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির হাত রয়েছে, তার জন্যই তিনি সিআইডি হেফাজতে থেকেও ফোন করতে পেরেছিলেন!
কুণাল গুপ্তার কলসেন্টারগুলো মূলত টেক সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে বিদেশি নাগরিকদের ফোন করত। তারপর ব্যাঙ্ক ডিটেইল নিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন। এবার সেই প্রতারণা চক্রের বাদশা কুণাল গুপ্তার হাত ধরে আসল মাথায় পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা।