কলকাতা: কয়লা পাচার-কাণ্ডে আরও তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ৭ আইপিএস তথা পুলিশ কর্তাকে ফের তলব করল ইডি। দিল্লিতে তলব করা হয়েছে তাঁদের। যে সময় কয়লা পাচারের বাড়বাড়ন্ত ছিল বলে অভিযোগ, সেই সময় এই পুলিশ কর্তারা বিভিন্ন উচ্চ পদে ছিলেন বলে জানতে পেরেছে ইডি। তাঁদের চোখের সামনে দিয়ে কী ভাবে কয়লা পাচার হত, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
যাঁদের তলব করা হয়েছে সেই ৭ পুলিশ কর্তা হলেন, জ্ঞানবন্ত সিং, রাজীব মিশ্র, সুকেশ জৈন, সেলভা মুরুগান, তথাগত বসু, শ্যাম সিং ও কোটেশ্বর রাও। আগামী ২১ থেকে ৩১ অগস্টের মধ্যে এই পুলিশ কর্তাদের দিল্লিতে ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
গত কয়েকদিনে দুর্নীতি ইস্যুতে তৎপর হতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই-কে। একদিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রথমে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পরে এসএসসি-র দুই প্রাক্তন উপদেষ্টাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যদিকে বৃহস্পতিবারই গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। এরই মধ্যে সাত আইপিএস-কে তলব করল ইডি।
আগেও এই পুলিশ কর্তাদের তলব করা হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে যে শুধু নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ রয়েছে তাই নয়, সরাসরি পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগও উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে লরি করে কয়লা পাচার করল লালার লোকজন, তারপরও পুলিশ নিশ্চুপ ছিল। মূলত আসানসোল, পুরুলিয়া এলাকাতেই চলত পাচার।
এঁদের মধ্যে কেউ ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার, কেউ ছিলেন আইসি। তদন্তকারীদের দাবি, এই পুলিশ কর্তারা চাইলেই পারতেন পাচার আটকাতে। ইডি সূত্রে খবর, ওই পুলিশ আধিকারিকদের কাছে থাকত বিশেষ টোকেন নম্বর, যা দেখে কয়লার গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হত। কার্যত পাচারের পথ মসৃণ করে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। এমনকি পুলিশ আর্থিক দিক থেকে লাভবান হত বলেও দাবি তদন্তকারীদের। আগেও একাধিক অফিসারকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।