কলকাতা : ফের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বিভাস অধিকারীকে (Bivash Adhikari) তলব এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের (Enforcement Directorate)। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে তাঁকে। এর আগেও তাঁকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়ান। ইতিমধ্যেই তাঁর আমহার্স্ট স্ট্রিটের অফিস সিল করে দিয়েছে ইডি। ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গোয়েন্দাদের ব়্যাডারে থাকা তাপস মণ্ডলের সঙ্গে রীতিমতো ওঠাবসা রয়েছে এই বিভাস অধিকারীর। তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ ছাড়াও এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একাধিক ব্যক্তিকে জেরা করার সময় উঠে এসেছে এই বিভাস অধিকারীর নাম। সে কারণেই তাঁকে জেরা করতে চান ইডির আধিকারিকরা। তবে ডাক পেলেও মঙ্গলবার তিনি আসবেন কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে তদন্তকারীদের মনে। কারণে এখনও পর্যন্ত তিনি এ বিষয়ে তদন্তকারীদের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করেননি বলে জানা যাচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে তিনিও তাপসেরই মতোই টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলির সংগঠনের বড় পদে ছিলেন। ২০১২-২০১৮ সাল পর্যন্ত অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাসোসিয়েশনে রীতিমতো সক্রিয় ছিলেন বিভাস। যখন নিয়োগ কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে, তার আগে অর্থাৎ তাপস মণ্ডলের সংস্থার দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকে ৬ বছর দায়িত্ব সামলেছেন বিভাস অধিকারী। অভিযোগ উঠছে, কলেজগুলিতে অফলাইনে ছাত্র ভর্তি করে দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকা নেওয়া হয়েছে। সেই টাকা সরাসরি পৌঁছে যেত মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। যদিও এই বিভাসই আবার দাবি করেছেন, তিনি কুন্তল কিংবা তাপস কাউকেই চেনন না। এখন দেখার ইডির জেরার মুখে পড়লে তিনি কী বলেন।
নলহাটিতে বাড়ি বিভাসের। সেখানে আশ্রম রয়েছে তাঁর, রয়েছে বিএড কলেজও। এছাড়াও রয়েছে ওষুধ ফ্যাক্টরি। শোনা যায়, এক সময় তৃণমূল ব্লক সভাপতিও ছিলেন তিনি। যদিও বিভাসের দাবি, তিনি এই মুহূর্তে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন।