কলকাতা: ক্রমেই কালিদাস হয়ে উঠছেন রাজ্যপাল বোস, এমনই মন্তব্য করলেন ব্রাত্য বসু। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে একের পর আলোচিত ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্য়পাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস আচমকাই যাদবপুরের উপাচার্য (যাঁকে তিনিই নিয়োগ করেছেন) বুদ্ধদেব সাউকে পদ থেকে অপসারিত করেন। এ নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। রবিবার সমাবর্তন ও বুদ্ধদেব সাউকে নিয়ে দিনভর চলে আলোচনা। এই আবহে আবারও শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় রাজ্যপাল বোস।
এদিন ব্রাত্য বসু বুদ্ধদেব সাউয়ের পাশে দাঁড়িয়েই বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এই মুহূর্তে কেউ কাউকে নিয়োগও করতে পারবেন না, বরখাস্তও করতে পারবেন না। তাহলে আসলে কেউ বরখাস্ত হয়েছেন কি? চিঠি পাঠানো হয়েছে বরখাস্তের। যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। সুপ্রিম কোর্টের বরখাস্ত অনুযায়ী কেউ বরখাস্ত হননি।”
এরপরই রাজ্যপালকে আরও কিছুটা চাছাছোলা ভাষায় ব্রাত্য বসু বলেন, রাজ্যপালই নিয়োগ করেন, তিনিই বরখাস্ত করেন, আবার তিনিই তদন্ত করেন সমস্ত উপাচার্যের বিরুদ্ধে। ব্রাত্যর কথায়, “বারবার উনি সমাবর্তনটা আটকাতে চেয়েছিলেন। আমরা চেয়েছিল সমাবর্তনটা হোক। কারণ কেউ সুন্দরবন থেকে আসছে, কেউ কোচবিহার থেকে। একটা ডিগ্রি ওনারা হাতে পাবেন। আচার্য সেটাও দিতে চাননি। এটা উচ্চশিক্ষার জন্য ভয়ঙ্কর।”
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা আইন আছে। সেই অনুযায়ী, উপাচার্য নিয়োগ করতে গেলে আচার্য নির্বাচিত রাজ্য সরকারের পরামর্শ অনুসারে তা করেন। ব্রাত্য বলেন, “উনি মুখ্যমন্ত্রীকে অগ্রাহ্য করছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন। আমাদের পাশ হয়ে যাওয়া অর্ডিন্যান্স সই করে দেবেন বললেন। সই করেননি এখনও। আসলে উনি কালিদাস হয়ে উঠছেন। নিজের গাছের ডাল নিজেই কাটছেন।”