কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) ওরফে কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) বিষয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে উঠে এসেছে। ইডি সূত্রের খবর, তাপস মণ্ডল তদন্তকারীদের জানিয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার অপর অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে কালীঘাটের কাকুর যোগ রয়েছে। ইডি সূত্রের দাবি, তাপস মণ্ডল জানিয়েছিলেন, ২০১৪ সালের টেটের জন্য কুন্তল ৭০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকুকে। কাকুর নির্দেশেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরাসরি ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল, দাবি ইডি সূত্রের।
এর পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যোগ রয়েছে বলে ইডি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। ইডি সূত্রের দাবি, তদন্তকারী সংস্থার কাছে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট রয়েছে। অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট… এসব নিয়ে মানিকের সঙ্গে যোগ ছিল কালীঘাটের কাকুর। অথচ ইডি সূত্রে খবর, এখন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বলছেন, তিনি এসব কিছুই জানেন না।
উল্লেখ্য, যেদিন ইডি কালীঘাটের কাকুর বাড়িতে হানা দিয়েছিল, সেদিন রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছিল। ইডির দাবি, এই রাহুল বেরা হল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ঘনিষ্ঠ। সূত্রের খবর, যাবতীয় ইলেকট্রনিক্স ডেটা ডিলিট করার জন্য রাহুল বেরাকে বলেছিলেন কাকু।
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, মোট চার ধরনের ডেটা ডিলিট করা হয়েছে। ফাইল অ্যাকুইজিশন, ডেটা মোবাইল, সিস্টেম অ্যাকুইজিশন ও ফিজিক্যাল অ্যাকুইজিশন। ইডির বক্তব্য, যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তাঁদের হাতে এসেছে, তা থেকেই মানিক ও কালীঘাটের কাকুর সম্পর্ক প্রমাণিত। কিন্তু এখন সমস্ত কিছু অস্বীকার করছেন সুজয় ভদ্র।
এদিকে এদিন আদালতে কালীঘাটের কাকুর আইনজীবী আবার দাবি করেন, এই গ্রেফতারি ও বাড়িতে তল্লাশির বিষয়টিই বেআইনি। ডেটা এক্সটরশন কোনওভাবে গ্রেফতারির কারণ হতে পারে না বলেই দাবি সুজয় ভদ্রর আইনজীবীর। তাঁর বক্তব্য, যথাযথ নিয়ম মেনে তাঁর মক্কেলের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়নি। কোনওরকম আইনি অনুমতিপত্র ছাড়াই তাঁর মক্কেলের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল বলে দাবি কালীঘাটের কাকুর আইনজীবীর। তাঁর বক্তব্য, ইডি নিজেদের ‘ইগো’কে তৃপ্ত করতে তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করেছে।