কলকাতা: দুর্নীতির টাকা রোজগারে রেহাই নেই মৃত ব্যক্তিরও! ওষুধ-চিকিৎসা সরঞ্জাম-চেয়ার-টেবিল-টিফিনের বরাত থেকে সন্দীপ ঘোষ-আশিস পাণ্ডের বিরুদ্ধে কমিশন নেওয়ার অভিযোগ ছিলই। আরজি কর সূত্রে খবর, অস্বাভাবিক মৃত্যু, পথ দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের জীবন বিমার মঞ্জুরির জন্য আবেদন পত্রে সই করার জন্যও প্রিমিয়ামের ১০ শতাংশ টাকা কমিশন নেওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে। আশিস পাণ্ডের অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকার উৎসের খোঁজ করতে গিয়ে বিষয়টি ইডির নজরে এসেছে বলে খবর। অভিযোগ, বিমা চক্রের মুখ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত আশিস পাণ্ডে।
অভিযোগ, আড়ালে পাণ্ডেজির মাথায় আশিস ছিল সন্দীপ ঘোষের। আরজি করের চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, সে জন্যই খাতায় কলমে আশিস পাণ্ডে শিশুরোগ বিভাগের হাউসস্টাফ হলেও তাঁকে দেখা যেত ট্রমা কেয়ারে। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে কোন কোন ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির জীবন বিমার মঞ্জুরির জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সই প্রয়োজন তা জানতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু, পথ দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে জীবন বিমা থাকলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সই প্রয়োজন হয়। পথ দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুরোগে অফিসিয়াল পোস্টিং হলেও যে ট্রমা কেয়ারে থাকতে পছন্দ করতেন আশিস!
তথ্য বলছে, গত দু’বছরে আরজি করে বিমা মঞ্জুরির সরকারি তথ্যও চমকে দেওয়ার মতো। এ বছরের ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত আরজি করে ২০৬৩ জনের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ছ’জনের সরকারি নিয়ম মেনে ১০০ টাকার বিনিময়ে বিমা মঞ্জুর করেছে ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগ। গত দু’বছরে সংখ্যাটা মাত্র ১৭। নভেম্বর পর্যন্ত ২০৬৩ যেখানে ময়নাতদন্তের সংখ্যা সেখানে মাত্র ৬ জনের বিমা মঞ্জুরের বিষয়টি অস্বাভাবিক বলে মানছেন ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরাও। সূত্রের খবর, এই বিষয়টি নিয়েই ইডি’র জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন আরজি কর কর্তৃপক্ষ।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)