কলকাতা: প্রথমে দেখা গেল শিবপুর। তার কয়েকদিন পর রিষড়া। উভয় ক্ষেত্রেই গোলমালের ঘটনায় বিরোধী দলগুলি প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। কেন পুলিশ আগেভাগে ব্যবস্থা নিল না? সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলে কার্যত পুলিশের ব্যর্থতার দিকেই আঙুল তুলছেন বিরোধীরা। কিন্তু সত্যিই কি পুলিশ এই ধরনের এক অনভিপ্রেত অশান্তি ও গন্ডগোল এড়াতে পারত? গোটা ঘটনাটিকে কীভাবে দেখছেন প্রাক্তন এনএসজি কমান্ড্যান্ট দীপাঞ্জন চক্রবর্তী? টিভি নাইন বাংলায় এক বিতর্কসভায় এদিন নিজের মতামত জানালেন তিনি। দীর্ঘ তিন দশক ধরে স্পেশাল ফোর্সের বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। কাশ্মীর সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির বাতাবরণ সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
দীপাঞ্জনবাবু বলছেন, পুলিশই হোক বা সাধারণ মানুষ সবই সমাজের প্রতিফলন। সাধারণ মানুষ যদি এরকম প্রশাসন চায়, তাহলে ভুগতে হবে। কাশ্মীর সহ ভারতের বেশ কিছু জায়গায় এই ধরনের অশান্তি দেখার ও তা সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। আমি আবারও বলছি, যদি পুলিশ প্রশাসন চায়, তাহলে অশান্তি হতে পারে না।’ নিজের বক্তব্য আরও স্পষ্ট করতে সম্প্রতি পঞ্জাবের পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। খলিস্তানপন্থী অমৃতপালের প্রসঙ্গ টেনে এনে বললেন, ‘পুলিশ চাইলে সব করতে পারে। এটি হয়ত একটি ইনটেলিজেন্স ফেলিওর।’
শুধু তাই নয়, এই ধরনের অশান্তির নেপথ্যে অন্য কোনও অভিসন্ধি লুকিয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করছেন প্রাক্তন এনএসজি কমান্ড্যান্ট। বলছেন, ‘যেগুলি দেখা যাচ্ছে, বা যেগুলি কাগজে আসছে, সেগুলির বাইরেও একটি এজেন্ডা আছে বলে মনে হয়। গত দুই তিন মাস ধরে যে ইস্যুগুলি সংবাদের শিরোনামে উঠে আসছিল, সেগুলি গত তিনদিন ধরে ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। সেগুলির জায়গায় এখন অশান্তির শিরোনাম উঠে আসছে।’ দীপাঞ্জনবাবুর স্পষ্ট কথা, ‘কে দায়ী বা কে দায়ী নয়, সেগুলি পরের বিষয়। কিন্তু প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না।’
যদিও দীপঞ্জন চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের পর তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানাচ্ছেন, ‘প্রশাসন চেষ্টা করছে, ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রশাসন পারবে এই অবস্থাকে শান্ত করতে। এই নিয়ে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়।’