Sujay Krishna Bhadra: পার্টি না করেও কালীঘাটের কাকুর এমন দাপট, ‘ষড়যন্ত্র’ করে ভোটে হারিয়ে দিয়েছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলরকে!

Sujay Krishna Bhadra: পার্থর সঙ্গে যোগসাজস করে হারিয়েছিলেন ভোটে, কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন কাউন্সিলরের।

Sujay Krishna Bhadra: পার্টি না করেও কালীঘাটের কাকুর এমন দাপট, 'ষড়যন্ত্র' করে ভোটে হারিয়ে দিয়েছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলরকে!
বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন কাউন্সিলর রত্না রায় মজুমদারের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2023 | 11:42 PM

কলকাতা: দিন কাটছে ইডি (ED) হেফাজতে। সূত্রের খবর, ইডি হেফাজতের প্রথম রাতেই কেঁদে ফেলেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) ওরফে কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku)। মেয়েকে দেখে আর ধরে রাখতে পারেননি চোখের জল। সেই সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আসতে শুরু করেছে বেহালা (Behala) থেকে। বেহালা ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর রত্না রায় মজুমদার ইতিমধ্যে করে ফেলেছেন এক বিস্ফোরক অভিযোগ। এই কালীঘাটের সিপিএম নেত্রী কাকু রত্না রায় মজুমদারের ওয়ার্ডেই থাকেন। তাঁর দাবি, প্রাক্তন শিক্ষা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও বর্তমান কাউন্সিলর পার্থ সরকার যোগসাজস করে তাঁকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। হয়েছিল রিগিং।  

এমনকি তাঁর হাত ধরেই বেহালা উত্তরসূরি ক্লাবও রাতারাতি ফুলেফেঁপে ওঠে বলে তাঁর দাবি। এই ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন মানিক লাল চট্টোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের ১৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান। তাঁকেও চক্রান্ত করে ‘কাকুই’ হারিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর। এমনকী সুজয়কৃষ্ণ উত্তরসূরি ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরো ক্লাবেরই ভোল বদলে যায় বলে দাবি করেছেন তিনি। রাতারাতি ক্লাবে চলে আসে অ্যাম্বুলেন্স, বেড়ে যায় দুর্গাপুজোর মান। পুজোয় কাকু নিজে হাতে প্রচুর টাকা খরচ করতেন বলেও দাবি করেছেন রত্না দেবী। ক্লাবের সমস্ত মহিলাদের পুজোর সময় চারদিনের জন্য আলাদা আলাদা শাড়িও দেওয়া হত বলে দাবি করেছেন তিনি। 

কিন্তু, এই টাকার উৎস কী? তা নিয়েই এখন উঠছে প্রশ্ন। বর্তমানে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে আগেই আবার বেহালার রায় পরিবারের জমি জবরদখল করার অভিযোগ সামনে এসেছিল। তাঁর গ্রেফতারির পর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ওই পরিবারের সদস্যরা। রায় পরিবারের কর্ত্রী নীলাঞ্জনা রায় রীতিমতো ক্ষোভের সুরে এদিন বলেছেন, “অনৈতিকভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়েই এত গা জোয়ারি। ওঁরা সব স্তরকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করেছেন। কোনও প্রভাবশালী লোকের মদত নিশ্চয় রয়েছে।”